রন্ন খাবার তরে রাজা পত্রত বসিল।১৪০
পন্থে থাকি হাড়ি সিদ্দা ধিয়ানত দেখিল॥
ধিয়ানে দেখিয়া হাড়ির মন বিদুর হৈল॥
প্রথম শিস্স করিলাম আমি হরিনাম মন্ত্র দিয়া।
আমাক ছাড়ি রন্ন খায় জননিক মহল জাএয়া॥
তেমনি হাড়ি সিদ্দা এই নাওঁ পাড়াব।১৪৫
শুন্যের গঙ্গাজল রাজার শুন্যে চালি দিব॥
মহামন্ত্র গিয়ান নিলে রিদয়ে জপিয়া।
করঙ্গ তুম্মাক দিলে হাড়ি ছিদ্র করিয়া॥
করঙ্গ তুম্মাক দিয়া গঙ্গার জল পালায়ত রুসিয়া॥
গাভির নাকান জল রাজা খায় চুম্বুক দিয়া।[১]১৫০
কপালে আছিল লক্খি রাজার পলাইল ছাড়িয়া॥
বার বৎসর দুক্খ রাজার কপালে নিখিল।
রাহু কেতু শনি গর্ব্বে বাস হইল॥
- ↑
পাঠান্তর:—
অন্ন খাইয়া রাজা জলের দিগে চায়।
ভাঙ্গা তুর্ম্মা দিয়া জল উচ্ছিয়া পলায়॥
মাটির জল রাজা চুম্বক দিয়া খাইল।
ভাঙ্গা তুম্বা আনিল ধরিয়া।
তাহাত জল ফুটিক লইল ঢালিয়া॥
হাতত মুখত জল দিয়া কোন কাম করিল।
শ্রীকৃষ্ট বলিয়া অন্ন মুখত তুলিয়া দিল।
এক গাসে দুই গালে পঞ্চ গাস খাইল॥
পাঠান্তরে পাই—
এখান কলার পাতা আনিলে কাটিয়া।
সোবনের থালের অন্ন নইলে পাতায় পারশিয়া॥
সোনালিয়া ঝাড়ির জল নইলে তুর্ম্মায় ঢালিয়া।
মৃত্তিঙ্গায় বসিল রাজা যোগ আসন ধরিয়া॥