তোমার রূপ আমার রূপ দুইজনকে দেখিয়া।
দশ গিরস্তে বলবে সব বৈরাগি নারিচোরা।[১]
নারিচোরা বলিয়া গিরস্তে না দ্যায় ঠাঞি।২৪০
ভাল গিরির ছেইলা হইলে বাসা দান দিবে।
গোঞার গিরস্ত হইলে আমাক জবাবে খ্যাদাবে॥
ছোট বড় গিরির বেটা বুদ্ধি আলচিরা।
দশ গিরস্তে বলবে এটা বৈরাগি নারিচোরা॥
নারিচোরা রতিত হ’লে গিরস্তে না দ্যায় ঠাঞি।২৪৫
তোর আমার বড়ুআর বেটি কবার দোসর নাই॥
রাজা বলে—ওগো নাগরি ধম্মপথে জাইতে আমাগ না করিও বাধা।
অবসে বৈষ্টম ধম্ম লেইখাছে বিধাতা॥
আগে মরন পাছে মরন মরন একবার।
একবারে শোধিতে নারে গোদা জমের ধার॥২৫০
না জানি চণ্ডালিয়া জমের কতেক মাল ধারি।
রাজা হৈয়া জমের দায় শোধিতে না পারি॥
রাজা হৈয়া না করে রাজ্যের বিচার।
পুত্র হৈয়া না করে জাঁয় পিতার উদ্ধার॥
নারি হৈয়া না করিবে জাঁয় সামির ভকতি।২৫৫
শিস্স হৈয়া না ধরে গুরুর আরতি॥
এই কয় ঝন মইলে রানি জাবে রধোগতি॥
- ↑ গ্রীয়ারসন সাহেবের সংগৃহীত পাঠে পাই:—
রাজা বলে সুন কন্যা হরিচন্দ্রর বেটি।
দস গিরস্ত বলিবে অথীত নারীচোরা॥
কত রঙ্গে কর মায়া সইবার না পারি॥
বংস হরির গুয়া খাইয়ে দন্ত করিলে সোলা।
কথা কহিতে জ্বলে দন্ত গুঞ্জরে ভ্রমরা॥
নারী হবু চাকন চিকন পুরুষ কেন্থা ওড়া।