পাতা:গোপীচন্দ্রের গান.pdf/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সন্ন্যাস খণ্ড
১৮১

সোনার গুনায় রুপার গুনায় করিব সিয়ানি।
হাজার টাকা দিব আনি দর্জ্জিরঘরের বানি॥৩২৫
চারু পাকে চাইর মানিক[১] মুঞিঁ দ্যাওঁ নাগাইয়া।
আন্ধার রাতি গলার ক্যাঁথা ওঠে জ্যান জলিয়া॥
হাট জাব পন্থ[২] জাব হবে আন্ধার রাতি।
কোন কাঙ্গালের মহল্লে পাব তৈল্ল ঘিয়ের বাতি॥
ঐজে রভাগির ক্যাঁথা[৩] মুখের আগত থুইয়া।৩৩০
তিন ঝনায় রন্ন খাব ঐ আলোত বসিয়া॥
রাজা বলে শোনেক রানি হরিচন্দ্র রাজার বেটি।
সোনার ক্যাঁথা ধরি জাবার চাইস গিরি নোকের বাড়ি॥
ভাল গিরস্ত হৈলে বাসাত জ্যান দিবে।
আর কন্দুআ গিরস্ত হৈলে জোঙ্গাবে খ্যাদাবে॥৩৩৫
ঐরুপে মানে জাব শুড়ির ভাটিঘরা।
শুড়ির ভাটিঘরাত মাতোআল ঘিরিয়া নবে।
মদ ভাং খাএয়া রানি তোর প্রান বধিবে শ্যাসে॥
ঐঠে হৈতে জাব কুমারের পওঁনঘরা।
পওঁনঘরাতে রব পড়িয়া।৩৪০
ভাল্ ভাল্ গিরস্ত রানি বুদ্ধি আলোকচিয়া।
খাট খাট নাটি নিবে বগলে ডাবিয়া।
আমাকে মারিবে ডাকু মুড়িয়া ডাঙ্গ দিয়া॥
আমাকে মারিয়া ডাকু তোমাগ নিগাইবে ছিনাইয়া।
ব্রথা কাজে ক্যান মরবু আমার সঙ্গে জাএয়া॥৩৪৫
রানি বলে ওগো মহারাজ,—
জখন ডাকু মারিবে তোমাক মুড়িয়া ডাঙ্গ দিয়া।
দুই বইনে দুকনা এজি নিমো হস্তে করিয়া॥


  1. একটা পাঠে ‘মানিক’ শব্দের পূর্ব্বে ‘মোহর’ পাওয়া যায়।
  2. পাঠান্তরে ‘পন্থ’ স্থলে ‘বাজার’ পাওয়া যায়।
  3. পাঠান্তর ‘রভাগির’ স্থলে ‘মানিকের’।