আর কত পসান নিলে মস্তকে করিয়া।
আর কত ফুলের গাছ নিলে উকাড়িয়া॥
পসান আনিয়া হনুমান গুরুর নিকট দিল।১০০০
আবাল গোদার বন্দন সিদ্দা খলাস করি দিল॥
দাদা কার ঘরে খাই আমারা কার ঘরে রহি।
তিন কোনার মানুষ গরু এক কোন করিতে পারি॥
খুদ্র হাড়ির কথায় আমারা ব্যাগার খাটি মরি॥
হনু বলে শুন গুরু কার প্রানে চাও।
খিদা তেষ্টা হইয়াছে আমার শরিলের ভিতর।
ক্যামন করি বৃক্খ আনিব পবনের নন্দন॥
হাড়ি বলে হায় হহু এই তোর ব্যাবহার।
হু হু বলি হাড়ি হুঙ্কার ছাড়িল।
কলার বাগুচা ঐ খানে জন্মাইল।
হস্তের ঠার দিয়া কলার বাগুচা দ্যাখাইল॥
হাড়ি বলে হনুমান কার প্রানে চাও।
পাকিয়াছে কলা মঞ্জিয়া আছে পাত।
এক এক হনুমান খাও কলা পির ছয় সাত॥
জখন হনুমান বাগুচা দেখিল।
ঝাপাঝাপি লাফালাফি করি কলার বাগুচা প্রবেশ করিল॥
পাকিয়াছে কলা মঞ্জিয়াছে পাত।
এক এক হনুমান খাইলে কলা পির ছয় সাত॥
কলা খাইয়া হনুমানের না ভরিল প্যাট।
ক্রোধ হএ কামড়ায় হনুমান কলার মুড়াত।
সমুখের সমস্ত দাঁত হএ গ্যাল বিনাস॥
হাড়ি বলে হারে জাদু পবনের নন্দন।
ক্যামন করি বৃক্খ আনিবেন আমার টে ন্যাও শুনিয়া॥
বৃক্খ মধ্যে আনিবেন আম্র কাঁটাল।
বৃক্খ মধ্যে আনিবেন শাল আর সিমল॥
বৃক্খ মধ্যে আনিবেন পালাস মান্দার।
বৃক্খ মধ্যে আনিবেন বট আর পাইকর॥