ছাওআয় ছোটায় লঙ্কার নাগি তুলি টান দিয়া॥
রাম রতের ডোর হাড়ির হস্তে নাগাইল।১০১৫
ছাওআয় ছোটায় হনুমানের ঘর টানিতে নাগিল॥
একটা একটা করিয়া চড় আমার হস্তের উপর।
হস্তে হস্তে তুলি থুব আমি পর্ব্বতের উপর॥
আপনার সাজন হাড়ি সাজিতে নাগিল।
আলগৈড় মাল গৈড় তিনটা গৈড় দিল॥
মন রাশি ধুলা শরিলে মাখিল॥
উঠিল হাড়ি সিদ্ধা গাও মোড়া দিয়া।
সগ্গে নাগিল মস্তক ঠেকিয়া॥
হস্ত ম্যালে হাড়ি সিদ্ধার হস্ত গ্যাল আকাশ।
পা ম্যালে হাড়ি সিদ্ধা পা গ্যাল পাতাল॥
রোম গ্যাল হাড়ি সিদ্ধার নাড়িয়া তালের গাছ।
দেখিয়া হনুমানক নাগিল তরাস॥
বড় বড় হনুমান প্রনাম করিয়া, একটা একটা করি চড়ে শবিলের উপর।
হস্তে হস্তে তুলি রাখে পর্ব্বতের উপর॥
গৈড় পাড়ি ব্যাড়ায় মৃত্তিঙ্গার উপর॥
হাড়ি বলে হারে বিধি মোর করমের ফল।
কান কাজ্য করিতে পাইছে এইটা হনুমান রসাতল॥
এও হনুমানের বদ্দ লাগিবে মস্তকের উপর
জখন হনুমান এ কথা শুনিল।
মনে মনে হনুমান জলিয়া ক্রোধ হইল॥
রাম রাম হনুমান হৃদএ জপিল॥
ওখানে থাকি হনুমান করিলেন তাপ।
হাড়ির ঘাড় বলি মারিলে এক ঝাপ॥
ঘাড়ে জাইয়া দরশন দিল।
হাড়ির ঘাড় ধরি তিনটা দোবান দিল॥
ত্রি কোন পৃথিবি কম্পবান হইল।
হাড়ি না নড়িল তার জমিন খান নড়িল॥