নিজিবার দিনে নিগাইস গুরু এই কিনা পথে।
আর গোটা চারি ফুল নিগামু রানির কারনে[১]॥
হাড়ি বলে জয় বিধি কন্মের বোঝঁ ফল।১০৪৫
বড় দুস্কে মারুলি বান্দনু পথের উপর॥
একটা পুষ্প নাই দেই আমি ঈশ্বরক বাড়ায়া।
তাতে পুষ্প নিগার চালি তোর রানিক বলিয়া॥
থাক একেনা দুস্ক পাঞ্জারের ভিতর।
একনা দুস্ক দিম বেটাক কলিঙ্কা বন্দর॥[২]১০৫০
এখন গুরু শিস্সে জাএছে পন্থ হাটিয়া।
হাড়ি বলে হারে জাদু রাজদুলালিয়া॥
মারুলি বান্দিয়া আমি বড় পাইনু দুখ।
বার কড়া কড়ি দে আমাক গাঞ্জা কিনিয়া খাই॥
গাঞ্জা কিনিয়া খাইয়া আমি গাএ করি বল।১০৫৫
তবে নি ধরিয়া জাইম তোক ডারাইপুর সহর॥
রাজা বলে শুন গুরু গুরুপা জলন্দরি।
তোমার মহিমা আমি বুঝিবার না পারি॥
আমিত না জানি তোমরা অনাচারে খাও।
অনাচারের সঙ্গে আইম কোন জন।১০৬০
অনাচারের সঙ্গে আইলে অবশ্য মরন॥
হাড়ি বলে হারে বেটা রাজ দুলালিয়া।
ডম্প কথা কইস আমার বরাবর॥
কতক দুরে জায় হাড়ি কতক পন্থ পায়।
কড়ি কড়ি বুলিয়া ঐ হাড়ি চ্যাঁচায়॥১০৬৫
পাতা:গোপীচন্দ্রের গান.pdf/২৩৬
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২৬
গোপীচন্দ্রের গান