পাতা:গোপীচন্দ্রের গান.pdf/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সন্ন্যাস খণ্ড
২৩১

কালাইর দোকান কালাইবেচি ন্যাদেয়া ফ্যালায়া।
ধম্মিরাজার কমর ধৈল্লে মরিম বলিয়া॥
কালাইবেচি জখন রাজার কমর ধরিল।
জত দোকানির মাথাএ বজ্জর ভাঙ্গি পৈল॥১১১৫
লবনবেচি বলে দিদি কমরক ছাড়েক তুই।
লবনের দোকান থুইয়া কমর আগে ধরছোঁ মুঞি।
সুপরিবেচি বলে দিদি কমরক ছাড়েক তুই।
সুপারির দোকান থুইয়া কমর আগে ধরছোঁ মুঞি॥
মাইলানি বলে পিশাই কমরক ছাড়েক তুই।১১২০
ফুলের দোকান থুইয়া কমর আগে ধরছোঁ মুঞি॥
হলদিবেচি বলে দিদি কমরক ছাড়েক তুই।


    গুরুদেবের নাগিয়া মুড়িআনি এ দৌড় করিল।
    জাইয়া মুড়িআনি গুরুদেবের চরনে পড়িল॥
    মুড়িআনির তরে হাড়ির দয়া জন্মিল।
    লক্‌খি লক্‌খি বলিয়া হাড়ি ডাকিবার নাগিল॥
    ডাক মধ্যে লক্‌খি মাতা দরশন দিল॥
    হাড়ি বলে লক্‌খি মাতা কার প্রানে চাও।
    এই ত মুড়িআনির ধন তিন ভাগ করিও॥
    এক ভাগ ধন দ্যাও কুবিরের বরাবর।
    এক ভাগ ধন দ্যাও গৃহস্থের বরাবর।
    এক ভাগ ধন দ্যাও মুড়িআনির বরাবর॥
    ওঠে থাকিয়া হাড়ির হরসিত মন।
    পলিন্তার বন্দরে জাইয়া দিল দরশন॥
    পলিন্তার বন্দর হাড়ি তেগারন করিয়া।
    শ্রীকলার বন্দরে হাড়ি উত্তরিল গিয়া॥
    শ্রীকলার বন্দরে মাঝে মাঝে শুন।
    থাক পড়িয়া দোকানি নিকারির কথা শোন॥
    শ্রীকলার বন্দরে হাড়ি জাইয়া দরশন দিল।
    বান্দা বান্দা বুলিয়া হাড়ি চ্যাঁচাবার নাগিল॥