ওগো গুরুবাপ! নগরের ঝগড়া বন্দরে আনিয়া।
বন্দরিয়া বেটি ছাওয়ায় কমর ফ্যালাইল ছিড়িয়া॥
রাজার কান্দন দেখিয়া গুরুর দয়া হৈল।
মহামন্ত্র গিয়ান নিলে রিদএ জপিয়া।
বাও ছঞ্চরে ইন্দ্র রাজাক আইনলো ডাকিয়া॥১১৩৫
ইন্দ্র রাজাক নাগি সিদ্দা হুঙ্কার ছাড়িল।
ইন্দ্ররাজা আসিয়া হাড়িক প্রনাম।
ক্যান ক্যান ডাকান গুরু হামার কিবা কাম॥
জখন কালাইবেচি রাজাক দেখিল।
কালাইর দোকান খানা দোকোনা করিয়া।
আপনার মহলে নাগি চলিল হাটিয়া॥
আপনার মহলে জাইয়া দরশন দিল।
ঘরের সৌআমিক বাপ দায় দিয়া।
ঐ রাজার কোমর ধৈল্লে মরিম বলিয়া॥
থাল ভরি দেই টাকা ঝোলা ভরি ন্যাও।
বান্দা ছান্দার কাজ্য নাই এইঠে ব্যাচাই জাও॥
হাড়ি বলে হারে কালাইবেচি কার পানে চাও।
দক্খিনদেশি রথিত নামে ব্রম্মচারি।
কখন চ্যালাক আমি ব্যাচাবার না পারি॥
বান্দা হইলে একবার থুইয়া জাইবার পারি।
আমার বাপের সাধ্য নাই ব্যাচাইবার পারি॥
কলাবেচি, মোলাবেচি, হলদিবেচি, কালাইবেচি
সবায় ধৈল্লে রাজার কোমর মরিম বলিয়া।
আপনা আপনি নিবার চায় আপনার বাড়ি বুলিয়া॥
টানাটানি করে রাজাক ব্যালার তিন পহর।
এর একনা টান দিলে ছিড়ে কোমর॥
অকাবন করিয়া রাজা কান্দন জুড়িল।
ক্যানে ক্যানে গুরু অধমের ছাড় দয়া।
বিদেশে আনিয়া আমার মিলালু ঝগড়া।