কতেক দুর জাএয়া সিদ্দা কতেক পন্থ পাইল।১১৮৫
হালুয়া নিকট জাএয়া রুপস্থিত হৈল॥
একটি পাঠে হালুয়ার নিকট যাইবার পূর্ব্বে এক রাখালের নিকট যাইবার নিম্নলিখিতরূপ বিবরণ আছে,—
রাজাক দুস্ক দিলে সিদ্দা কলিঙ্কার বন্দরে নিগিয়া।
ওঠে হইতে গ্যাল সিদ্দা আখোআলক নাগিয়া॥
বান্দা নে বান্দা নে আখাল প্রানের ভাই।
বার কোড়া কড়ি দে ছেইলাক বান্দা থুই॥
জ্যান কালে রাখাল মুনি রাজাক দেখিল।
হাড়ি সিদ্দা তরে কথা বলিতে নাগিল॥
বার কোড়া ক্যানেরে বৈস্টব বার কাহন ন্যাও।
আর বান্দা ছান্দার কাজ্য নাই আমার ঠে ব্যাচেয়া জাও॥
সিদ্দা বলে শোনেক আখোআল নন্দন।
দক্খিন দ্যাশে থাকি আমি নামে ব্রহ্মচারি।
পরের ছাইলাক আমি ব্যাচাইতে না পারি॥
আথাল বলে এই কোনাক চ্যাংরা জদি মুঞি আখোআল পাও
আর চাইট্টা পালের গরু বেশি করিয়া চরাওঁ॥
মুঞি আখোআল থাকিম্ আইলত বসিয়া।
শালার হস্তে নিব ধেনু খ্যাদাইয়া॥
হাড়ি সিদ্দা বলে আখোআল,—
বান্দা নেইক বা না নেইক ধেনুর পালে থাকিয়া।
বিনা অপরাধে শালা বল্লু আমারি চাক্খসে ডাড়েয়া॥
বেটা অহঙ্কারি তোর কাছে আর বন্দক থুইম না।
জা জারে আখাল বেটা তোক দিলাম বর।
চুন্নি পালাটি গরু হউক তোর পালের উপর॥
চুন্নি পালাটি গরু হএয়া গারস্তের থাউক পাকা ধান।
আর খোলা দিয়া মলি দেউক তোর নাক আর কান॥
কান্দি কাটি জা’ক তোর বাপ মাওর কাছে।
হুলিয়া গুতিয়া পাঠেয়া দেউক জা গরুরু পালতে॥