পাতা:গোপীচন্দ্রের গান.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জন্মখণ্ড
২১

ওখানেতে বুড়ি মএনা জল না পাই কান্দিতে নাগিল।[১]
ঐঠে হৈতে বুড়ি মএনা দলানে সন্দাইল॥
দ্যাখেছে গঙ্গার জল ব্যাড়ায় ঢৌ খাএয়া।
কান্দি কাটি গেল মএনা রাজার পালঙ্গক নাগিয়া॥২৭০
ওহে প্রানপতি,—জম বেটা শেত কুয়া আর
ফটিকের জল ফেলাইছে ঢালিয়া॥
এলায় জদি জল ভরিবার জাই আমি বৈতরনি নাগিয়া।
এপাক দিয়া জম বেটা তোমার জিউ নিজাবে বান্দিয়া॥
একশত বান্দি দাসি[২] আছে মহলর ভিতর।২৭৫
তার হাতে জল খাও রাজ রাজেশ্বর॥
রাজা বোলে শোন মএনা আমি বলি তোরে।
এমনি জদি আমার প্রান জায় চলিয়া।
তবু বান্দির হাতের জল খাব না পালঙ্গে শুতিয়া॥


  1. পাঠান্তর—


    শেতকুয়ার জল দ্যাখে শেত কুয়াত নাই।
    ইন্দিরার জল দ্যাখে ইন্দিরাতে নাই॥
    দরিয়ার নাগি মএনা গমন করিল।
    দরিয়ার ঘাটে জাইয়া দরশন দিল।

  2. গ্রীয়ার্সন সাহেবের সংগৃহীত পাঠে ‘রানী’ এবং পরবর্ত্তী অংশে—

    এক সাত রানীর হস্তের জল আঁইসঠানি গোন্দায়।
    তোমার হাতে জল খাইলে বহু ভাগ্য হয়॥
    এলায় যদি আমি যাই জলক নাগিয়া।
    ঐত ভাড়ুয়া যম তোক লইয়া যাবে বান্ধিয়া॥
    রাজা বলে সুন ময়না বাক্য মোর ধর।
    তৈলপাঠের খাড়া থোও বিছানাত ফেলায়া॥
    যখন আসিবে ভাড়ুয়া যম দৈত্ত দানব হয়া।
    তৈলপাঠের খাড়া দিয়া ফেলামু কাটিয়া॥
    যেন মতে ময়নামতি হস্তে ঝাড়ি লৈল।

    হাঁচি জিঠি বাধা বিস্তর পড়িল॥