তলে নিলে চাউল কড়ি উপরে কাঞ্চা সোনা।২২৫০
ভিক্খা ধরি ব্যারাইল তখন রসুন। পছন। ॥[১]
- ↑ গ্রীয়ার্সন সাহেবের সংগৃহীত পাঠে—প্রথমে বান্দী দিগের ভিক্খা লইয়া আগমন, বান্দীদিগের হস্তে ভিক্খা লইতে অস্বীকার করায় ‘সাইবানী’ বা রাণীদিগের ভিক্খা আনয়ন।
যেন মতে কন্যা দুইটা সম্বাদ সুনিল।
ভিক্ষা ধরি কন্যা দুইটা খাড়া হইয়া রহিল॥
বিন ছোড়ানি ধর্ম্মর কপাট আপনে খসিল
ভিক্ষা ধরি অদুনা পদুনা বাহির হইয়া আইল ॥
হস্তির দারুকা দিলে কাটিয়া।
দুর হইতে আইসে হস্তি আইল চড়িয়া ॥
দুর হইতে রাজাক পরনাম করিল।
সুঁড় দিয়া ধরিয়া রাজাক কান্ধত চড়াইল ॥
এক ঘড়ি থাকিলে হস্তি ধৈর্য্য ধরিয়া।
যাবত না আইসে কন্যা ছলনা করিয়া ॥
হস্তির পিটি হইতে রাজা মৃত্তিকায় নামিল।
হস্ত ধরি কন্যা দুইটা রাজাক মন্দীরত লইয়া গেল।
হাসিয়া খেলিয়া কন্যা চিনা পুছা দিল॥
কোন গুরু তোক জ্ঞান দিল সরীরর ভিতর।
কেমন করি যাও তোর মায়র বরাবর ॥
এই উভয় মতেই অদুনা ও পদুনা রাণীর বহির্গমনের পরে অঙ্গুরী দেখিয়া রাজার নিকট হস্তী প্রেরণ। একমতে হস্তীর পরে আবার ‘সার শুয়া’ পক্ষী প্রেরণ।
রানি বলে হারে বান্দি তোর গালে পড়ুক চড়।
সারশুয়া পক্খি দুটাক দ্যাওত ছাড়িয়া।
কোন ঠাকার রতিত আইছে ফেলুক মারিয়া ॥
জখন বান্দির বেটি এ কথা শুনিল।
সারশুয়া পক্খি দুটাক দিলেত ছাড়িয়া।
সারা ঘাটাএ গ্যাল পক্খি মার মার বলিয়া।
কিসের আর মারবে তাক কান্দে গলাটা ধরিয়া॥