কৈয়। দ্যাওছোঁ গোপিনাথ তোর শরিরটার ভেদ।
আত্তমা পরিচয় দিয়া চল গুরুর সাত॥২০০
সাত নাই পাচ নাই আড়ির কেহ নাই।
পুরির মধ্যে জল দিবে এআর লৈক্খ নাই॥
সাত নাই পাচ নাই ঘোর একেলাএ কানাই।
এই বাদে সোনাব জাহ্র তোক সন্ন্যাসে পাঠাই॥
ছাড় বেটা এলা মেলা ছাড় উত্তম ভোজ।২০৫
রাজ্যের মায়া তেজিয়া চল গুরুর সাত॥
গুরু ছাচা পিণ্ডি কাচা সংসারে কয়।
গুরু না ভজিলে দেহ শৃগালে না খায়॥
অপমৃত্যু দেহ হৈলে কাগে ছাড়ি জায়॥
ভারে ভারে পাঞ্জি চাইলাম এই পাটের উপর।২১০
হেন্দুস্থানি পড়ি বুঝোঁ ভাগবত পুরান।
মোছলমানে পড়েছিলাম কিতাব কোরান॥
জোগি ধম্মে পড়িয়া বুঝিলাম এই জোগ ধ্যান॥
বেদ বিধি পড়িয়া শাস্ত্রের না পাওঁ ঠাঞি।
বিনে সন্ন্যাস না হইলে তোর ভাণ্ডর নিস্তার নাই॥২১৫
কৈয়া দ্যাওছোঁ গোপিনাথ তোর শরিরটার ভেদ।
আত্তমা পরিচয় দিয়া চল গুরুর সাত॥
আমি জ্যানে জিয়ে থাকি তুমি জ্যানে মর।
এমন গুরু ভজ জ্যান চারি জুগে তর॥
এই সমএ জাদুরে নিরলে বান্দ আলি।২২০
শিক্সে ভাজন হৈলে গুরুই না খায় গালি॥
রাজা বলে শোন মা জননি লক্খি রাই।
সন্ন্যাস জাবার বলমা সন্ন্যাস হৈয়া জাই॥
মৃত্তিকায় গাড়িলে ভাণ্ড পোকার আহার।
কোন দিয়া না দেখোঁ তোর ভাণ্ডের নিস্তার॥