পাতা:গোবিন্দরাম - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y RV) ""; গোবিন্দরাম । “ভাল। তার পর আমরা এও জেনেছি, যে এক-পেয়ে বা কাঠের প্রা-ওয়ালা লোকের উপর বরেন্দ্রের পিতার বড়ই ভয় ছিল; সুতরাং বােঝা গেল যে, এই এক-পেয়ে লোকই প্ৰথমে জহরতের কথা জানত। বরেন্দ্রের পিতা তাকে ফাঁকি দিয়েছিলেন, নতুবা এত ভয় কেন ?” । “এখন বেশ বুঝতে পারছি।” - “তার পর আন্দামান দ্বীপ থেকে চিঠিী পেয়ে তার ব্যারাম বেড়ে যায় ; এতে বোঝা যায় যে, তিনি খবর পান যে, এক-পেয়ে কোন গতিকে আন্দামান থেকে দেশে ফিরেছে। সে তার মরুবার দিন তার জানালায় উকি মেরেছিল ।” “হা, বরেন্দ্র বাবু বলেছিলেন।” “বেশ। কাজেই সেদিন সে 'চারি সাক্ষর লিখে রেখে গিয়েছিল। সুতরাং বোঝা যায় যে, তাকে জহরত থেকে ফাকি দেওয়ায় সে প্ৰতিহিংসা নেবার চেষ্টায় ছিল ।” “এখন তা বেশ বুঝতে পারছি।” “প্ৰতিভার নিকট একটা প্ল্যান পেয়েছি, এতে স্পষ্টই এখন বোঝা যাচ্ছে যে,যেখানে জহরত আছে, খুব সম্ভব পোতা ছিল, প্ল্যানে डांक्षांश् 6थान छब्रtछ।” “এখন তাও বেশ বুঝতে পারছি।’ - “প্ল্যানে চার জন লোকের সই আছে, সুতরাং কেবল তারাই চার জন এই জহরতের কথা জানত। তারা কোন কারণে,সম্ভবমত খুন করে দ্বীপান্তর যায়। সেখানে ডাক্তার বাবু আর কমিসরিয়েট বাবু তাদের কাছ থেকে কোন গতিকে জহরতের কথা জানতে পারেন, প্ল্যানও হস্তগত করেন। শেষে সমুদয় জহরত বরেন্দ্র বাবুর গুণবান। পিতাই আত্মসাৎ করেন।”