পাতা:গোবিন্দরাম - পাঁচকড়ি দে.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোবিন্দরাম । 8७ মারাঠীর বন্ধুই করেছে, এ আমি স্বীকার করি। আমি তাই তখন হতেই লোকটার সন্ধানে থাকি । পিয়নের কাছে ঠিকানা পেয়ে আমি গোকুলপ্ৰসাদের বাড়ী যাই, কিন্তু ঐ বাড়ীর পাশের দোকানীর কাছে খবর পাই যে মারাঠী দুজন তাদের জিনিষ পত্ৰ নিয়ে ষ্টেশনে চলে গেছে। তখন আমি ষ্টেশনে গিয়ে সন্ধান করি। কুলীরা বললে যে, হঁয়, দুজন মারাঠী, রাত্রি আটটার পর ষ্টেশনে এসেছিল, তারা তাদের জিনিষ-পত্ৰ মামিয়ে নিয়েছিল । কিন্তু তাদের মধ্যে একজন ভারি মাতাল, সে অপরের সঙ্গে বাকাবিকি করে ষ্টেশন থেকে বেরিয়ে আসে । অপর মারাঠী তার জন্য ষ্টেশনে অপেক্ষা করতে থাকে, গাড়ীর সময়েও কিন্তু সে ফেরে না। তখন সেই মারাঠী মুটেদের জিনিষ-পত্ৰ নিয়ে তার সঙ্গে ষ্টেশনের সম্মুখের মোসাফের-থানায় যেতে বলে। তারা জিনিষ-পত্ৰ নিয়ে সেইখানে রেখে আসে । মারাঠীও সে রাত্রের জন্য মোসাফের-খানায় বাসা নেয়। সুরব্য। তার পর ? রাম। তার পর আমি এই খবর পেয়ে তখনই মোসাফেরখানায় যাই। সন্ধানে জানি যে সত্যই একজন মারাঠী ভদ্রলোক কাল অনেক রাত্রে, মোসাফেরী-খানায় বাসা নিয়েছিল ; কিন্তু এখন তিনি কোথায়, কেউ সে কথা বলতে পারে না দেখে, আমি মোসাফের থানায় দরোয়ানকে সঙ্গে নিয়ে উপরে গিয়া দেখি, একটা ঘরের দরজা। বন্ধ। অনেক ঠেলা ঠেলিতে কেহ দরজা না খোলায় আমি দরজা ভেঙে ঘরে ঢাকি। ভিতরে গিয়ে দেখি, মারাঠীর মৃতদেহ পড়ে আছে। তার বুকে কে ছোরা মেরেছে। যে ছোরা মেরেছিল, সে বিছানার | চাদরে ছোরার রক্ত মুছেছে, পাশের লোটার জলে হাত ধুয়েছে, আর দেয়ালে রক্তে লিখে গেছে সেই, “সাজ ।”