পাতা:গোবিন্দ দাসের করচা.djvu/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> 8 শুন শুন ওহে ভাই রমণীর বাণী । রমণী রমণ হয় একই পরাণী ॥ আত্ম অংশে দৃষ্টি যদি কর সরে এবে । রমণী রমণ সব একই দেখিবে ॥* অযুত হইতে যারা মুম্বাই ভাবিয়া । রমণীর লাল পিয়ে নয়ন মুদিয়া ॥ নিত্যানন্দ ভুলে তাতে আনন্দ যাহার। ধিক্ সে পামর জন্ম বৃথাই তাহার ॥ পূৰ্ণব্ৰহ্ম সনাতন গৌরাঙ্গ আমার। তেয়াগিয়া তার সঙ্গ লইব সংসার ॥ এই কথা বলিতে বলিতে দামোদর। পার হৈয়া চলিকু মোরা কাশী মিত্রের ঘর ॥+ কাশীমিত্র হয় একজন পুণ্যবান। ' তার গৃহে প্ৰভু গিয়া কৈলা অধিষ্ঠান ॥ ভোগ লাগাইতে মিত্র ভাল চাউল দিলা । চাউল দেখিয় প্রভু প্রশংসা করিলা ॥ প্রভু বলে এই চাউল বড় চিকণিয়া । ইহারে ডাকয়ে লোক কি নাম ধরিয়া ॥ মিত্র বলে জগন্নাথভোগ ইহার নাম। ভোগ লাগাইলে হয় পূর্ণ মনস্কাম। জগন্নাথভোগ শুনি প্ৰভু চমকিল । অমনি প্রেমের ধারা বহিতে লাগিলা । কান্দিতে কান্দিতে বলে হান্ত জগন্নাথ । শীঘ্ৰ টানিয়া মোরে লহ তব সাথ ॥ শাক স্ব প নানা বস্ত রন্ধন করিয়ণ । একত্র করিলা প্রভু আনন্দে মাতিয়া ॥

  • সে নহ রমণ হাম নই রমণ" রাম রায়ের গান, (ζ6, 5 )

ইহার পরে চৈতষ্ঠ ভাগবত যে বর্ণনা দিয়াছেন, তৎসঙ্গে করচl-প্রদত্ত বর্ণনার মিল নাই । চৈতন্য. ভাগবত পর পর নিম্ন লিপিত স্থান গুলির নাম করিয়াছেন :–আটিপার নগর, ছত্রভোগ, অম্বুলিঙ্গঘাট, হুবর্ণরেপ নদী, জলেশ্বর, রেমুন, ধাজপুর। গোবিন্দ দাসের করচা বেতো শাকের গন্ধে দিক মামোদ করিল। ভোগ না হইতে মন চঞ্চল হইল । প্রভু কহে তুলসী আনহ শীঘ্ৰ করি। ভোগ লাগাইয়া প্রসাদ দিব প্রাণ ভরি ॥ বড় ক্ষুধা হইয়াছে বাছনি তোমার । ইতি উতি চাহিতেছ তাই বারবার ॥ বড় লজ্জা পাইলাম প্রভুর কথায় । হেটমুখে অমনি রছিছু তথায় ॥ ভোগ দিয়া প্রসাদ বণ্টন করি দিলা । স্থত্তার ঝোলে প্রাণ প্রসন্ন হইলা ॥ আণ্ঠথানা করলার ভাজি খাই সুখে ॥ বড় বড় গেরাস তুলিয়া দেই মুখে ॥ চুক্রান্ন গুড় দিয়া অমৃত সমান । কত খাব আনন্দেতে প্রসন্ন বয়ান ॥ অপরাহ্লে মিত্ৰগৃহ ছাড়ি গোরাচাদ । ধাইল দক্ষিণ ভাগে পীরিতের ফঁাদ ॥ ক্রমে পোহছিন্থ মোর হাজিপুর গ্রামে। গ্রাম মাতাইলা প্রভু দিয়া হরিনামে ॥ প্রকাও এক বটবৃক্ষ গ্রামের বাহিরে। সেইখানে বসিলাম মোরা ধীরে ধীরে ॥ সন্ধ্যাকালে সংকীৰ্ত্তন প্রভু আরম্ভিল । আকাশ ভেদিয়া নাম গগনে উঠিল ॥ নাচিতে লাগিল প্রভু মাতাইল দেশ । কোথায় কেীপীন ডোর আলু থালু বেশ । | | -- --- -------- - -- - - - ----- কটক, মহানদী, সাক্ষী-গোপাল, ভূবনেশ্বর, আইরিনাল, কমলপুরী । কিন্তু করচয় পৰ্য্যটনের পথ এইরূপ :-কাঞ্চন-নগর, দামোদর পার হওয়া, হাজিপুর, মেদিনীপুর, নারায়ণ গড়, সুবর্ণরেখা, হরিহরপুর, বালেশ্বর, নীলগড়, বৈতরণী পার হওয়া, মহানদী, সঙ্গীগোপাল, নিংরাজ । এক্ষণ ইহায় পূর্ববৰ্ত্তী বিবরণের সঙ্গে চৈতন্ত ভাগবত ও করচার রেখায় রেখায় মিল দেখা যাইতেছে, ! অথচ পরবর্তী বর্ণনায় গরমিল হওয়ার কারণ কি ?