পাতা:গোবিন্দ দাসের করচা.djvu/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোবিন্দ দাসের করচা سOb এই সেই নবীন সন্ন্যাসী দেখ ভাই । ইহাকেই বলে সবে চৈতন্য গোসাই ৷ যেমন শুনেছি আজি দেখিলমে তাই । আহা মরি কিবা রূপ কভু দেখি নাই। মানুষ না হয় এই সন্ন্যাসীপ্রবর। ইহারে দেখিয়া কেন গলিল অস্তর। ঈশ্বরের অবতার হয় এই জন । প্রণাম করহ সবে ধরিয়া চরণ । এই কথা বলি ভর্গ প্রণাম করিল দশনে রসন কাটি প্রভু পিছাইল । প্রভু বাল ছিছি ভৰ্গ কি বলিলে তুমি। নদীয়ানগরে হয় মোর জন্ম ভূমি । সামান্ত মানুষ আমি এইত নিশ্চয় । অবতার বলি কেন কর মিছে ভয় ॥ ঈশ্বরের অবতার বলি বারে বারে । অপরাধী কর কেন তোমরা আমারে । তীর্থ করিবারে আসিয়াছি তব ঠাই । হরি বলি বাহু তুলে নাচ সবে ভাই । অবতার বলি কেন কর গণ্ডগোল । এস সবে মিলে বলি হরি হরি লোল । ঈশ্বরের অবতার না বলি ও কহু । সাক্ষাৎ শঙ্কর তুমি জগতের প্রভু ॥ প্রতি নমস্কার করে প্রভু করপুটে । ত্ৰাস পেয়ে ভৰ্গদেব চমকিয় উঠে ॥ চরণতলেতে ভর্গ গড়াগড়ি যায়। ধূলায় ধূসর অঙ্গ পড়িয়া ধরায় । ভর্গ বলে শুন শুন চৈতন্য গোসাই বৃদ্ধ বলি কৃপা কর এই ভিক্ষা চাই । ভজন সাধন মুহি কিছু নাহি জানি । বিরক্ত সন্ন্যাসী বলি সদা অভিমানী ॥ তার কাছে গিয়া প্রভু কর ভারিভুরি । যে জন না বুঝিয়াছে লীলার চাতুরী ॥ যে তোমারে না চিনেছে তার কাছে গিয়া । রাখহ কৌশলে নিজ রূপ লুকাইয়া ॥ বৃদ্ধ বলি চক্ষু দোষে দৃষ্টি মোর ঘোর। সেই লাগি দেখিতেছি শুামল কিশোর ॥ সোণার মতন বর্ণ তব লোকে বল । অভাগা হেরিছে কাল অদৃষ্টের ফলে ॥ একবার দয়া করি চৈতন্য গোসাই ! দেখাও যদ্যপি রূপ দেখিবারে পাই ॥ কৃপা করি দেহ প্ৰভু মোরে চক্ষুদান। দয়া করি কর তুমি মোরে ভাগ্যবান। কৃপা করি দেখা যদি দিলে অধমেরে চরণ তুলিয়া দেহ মাথার উপরে। বৃদ্ধের বচন শুনি শচীর কুমার। বলে কেন অপরাধী কর বার বার। এথায় আসিন্থ সাধুদরশন লাগি । আছুক পুণ্যের কথা কলুষের ভাগী ॥ এই বাক্য শুনি ভর্গ করি যোড় পাণি । এথা ভিক্ষা কর আজি এই মোর বাণী ॥ ত্রিপাত্র নগরে প্রভু সপ্তাহ রহিল। বহুতর লোক তথা আসিয়া জুটিল ॥ সাত দিন করে প্রভু হরিসঙ্কীৰ্ত্তন। হরিনামে মাতিয়া উঠিল সৰ্ব্বজন ॥ সেই স্থানে বহু লোক বৈষ্ণব হইল । কণ্ঠে সবে তুলসীর মালা জ্বলাইল ॥ আমার প্রভুর কথা কি কহিব আর আশচাৰ্য্য প্রভাব তার বিচিত্র আকার ॥ দিনান্তে সামান্ত ভোজ্য খায় গোরারায় । না খাইয়া দেহ তার ক্ষীণ যষ্টি প্রায় ॥ অস্থিচৰ্ম্ম অবশিষ্ট হইয়াছে তার। তথাপি দেহের জ্যোতিঃ অগ্নির আকার