পাতা:গোবিন্দ দাসের করচা.djvu/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q 8 সপ্ত কুলাচল কালে ঘুচিয়। যাইবে । - জড় জগতের মধ্যে কিছুনা রহিবে ॥ ভক্তিসহ ভাব সেই সত্য সনাতন । আঁটিয়া ধরহ সবে তাহার চরণ ॥ সৰ্ব্বতাপ হরিবেন প্রভু গদাধর। বৈকুণ্ঠ সমান হবে এই চরাচর ॥ বিষয় বিভবে লিপ্ত হয় যেই জন । কাটিতে না পারে সেই বিষম বন্ধন ॥ ইচ্ছা করি যেই জন পড়য়ে বন্ধনে । তাহারে বিষম মুর্থ কহে সৰ্ব্বজনে ॥ হরিনাম অস্ত্রে কাট মায়ার বন্ধন । অনায়াসে নিত্যধামে করিবে গমন ॥ জন্ম মৃত্যু জরা নাহি হবে বার বার। কৃষ্ণ কৃষ্ণ বলি ডাক ঘুচিবে আঁধার ॥ প্রারব্ধ কাটাও সবে অতি দীন ভাবে । তবে শোক তাপ দুঃখ দূরে চলি যাবে। বাকিল * বহুত লোক প্রভুরে দেখিতে। অসংখ্য পণ্ডিত আসে বিচার করিতে ॥ কেহ বলে এ সন্ন্যাসী মাকুয ত নয় । কেহ বলে এই জন মহাজন হয় ॥ কাহারো কথায় প্রভু বাক্য নাহি কহে । হরিনামে দুনয়নে প্রেমধারা বহে ॥ দুই চক্ষু মুদি প্রভু হরিনাম করে। উলটি পালটি পড়ে ভূমির উপরে ॥ প্রভু বলে কোন তীর্থে যাব অতঃপর। পথ বাতালিয়া দেহ কোথা ভোলেশ্বর । পাটস গ্রামের কাছে আছে গোর ঘাট । সেইখানে ভোলেশ্বর নামে মহাপাট ॥ | i |

  • বাকিল-ৰ কিয় পড়িল, দলে দলে উপস্থিত ।

হইল । - গোবিন্দ দাসের করচ ভেলেশ্বরে মহাদেব করেন বিরাজ । এই উপদেশ দিলা তুর মহারাজ । তুর নামে বিপ্রবর বড়ই পণ্ডিত। তাহার কথায় প্রভূ চইলা বিদিত । তুর বলে ভালেশ্বর আছে সেই খানে । শুনি চলিলা প্রভু শিব বিদ্যমানে ॥ ভোলেশ্বরে মেলা ভয় বৎসর বৎসর । শুনিয়া প্রভুর তবে নাচিল অন্তর ॥ মোর পানে চেয়ে প্রভু ঈষৎ হাসিয়া । বলে চল ভোলেশ্বর যাই পিছাইয়া ॥ পৰ্ব্বতে পৰ্ব্বতে তবে বহু পথ হাটি । ভোলেশ্বরে গিয়া দেখি তীর্থ পরিপাটি ॥ প্রকাও মন্দির আছে পৰ্ব্বত উপরে । তার মধ্যে দেখিলাম প্ৰভু ভোলেশ্বরে । এইখানে সিদ্ধকূপ আছে বিদ্যমান । তার জল তুলি তবে প্রভু করে স্নান ॥ ভোলেশ্বর দেখি প্রভুর প্রেম উপজিল । জোড় হস্তে স্তব স্তুতি বহুত করিল ॥ অজ্ঞান হইয়। গেfরা পড়িয়। ধরায় । উলটি পাগটি কত গড়গড়ি যায় ॥ ভোলেশ্বর দরশন করি গোর রায় । নিকটে দেবলেশ্বর দেখিবারে ধায় ॥ দেখিয় দেবলেশ্বর প্রভু গুণমণি । প্রণাম করিয়৷ তবে লুঠায় ধরণি ॥ প্রেমে গদ গদ হয়ে বহুস্তব করে । প্রভুরে দেপিতে লোক আসে ভক্তিভরে ॥ বিরাজে দেবলেশ্বর পর্বত উপরি । তার বহুদূরে শোভে জিজুরী নগরী ॥ খাওবা নামেতে দেব আছে জিজুরীতে। প্রভুর সহিতে যাই খাণ্ডবা দেখিতে ॥ যে নারীর বিবাহ না হয় নানা বাদে । তার পরিণয় হয় থাওবা প্রসাদে ॥