পাতা:গোবিন্দ দাসের করচা.djvu/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোবিন্দ দাসের করচা هون ষ্ঠাসী বলে এস.এস সরাসী গোঁসাই। তোমায় সমান সাধু কভু দেখি নাই । তোমারে দেখিয়া ভক্তি উপজিছে মনে। সংসার সাগর বল তরিব কেমনে ॥ কিরূপে ভজিতে হয় পরম ঈশ্বর। ইহা বলি ব্যাকুলতা ঘুচাও আমার ॥ প্রভু বলে সার তত্ত্ব কিছু নাহি জানি। মনের আঁধার সব ঘুচাবে ভবানী ॥ সুন্দর নায়ক দেখি সামান্ত নায়িকা । যেই ভাবে দেখে তারে হয়ে রাগাত্মিক ॥ সেই ভাবে কৃষ্ণকে ডাকহ বারবার। আপনি ঘুচিয়া যাবে মনের অর্ণধার। কহিতে কহিতে কথা একই ব্রাহ্মণ । ছাগ বলি দিতে আসে দেবীর সদন ॥ প্রভু বলে বলি দাও ভক্ষণের তরে। নাহি জান কোথায় হইবে গতি পরে ॥ পবিত্র মুরতি দেবী শাস্ত্রের বচন। কেমনে করেন তিনি অভক্ষ্য ভক্ষণ ॥ লক্ষ বলি দিয়াছিল সুরথ ভূপতি। প্রেত পুরে লক্ষ অসি পড়ে তার প্রতি ॥ আলোচনা নাহি কর শাস্ত্রের বচন । পশু হিংসা করি কর ধৰ্ম্ম আচরণ ॥ মাংসাশী রাক্ষসগণ খাইবার তরে। ব্যবস্থা দিয়াছে পশু হিংসা করিবারে ॥ অহিংসা পরম ধৰ্ম্ম সৰ্ব্ব শাস্ত্রে কয়। জীবে দয়া কর হবে আনন্দ উদয় ॥ আঁটি সাটি করি মায়া করেছে বন্ধন। বিনা অন্ত্রে কিরূপেতে করিবে ছেদন ॥ তামস আহারে রতি তাই মেঘ ছাগ। কাটিতে দেবীর কাছে কর অনুরাগ ॥ পশু হিংসা করিয়া পাইবে পরিত্রাণ। সেই লাগি আনিছ করিতে বলিদান ॥ . আত্মারে বাহির কর শরীর হইতে। মৃত দেহ মধ্যে আত্মা পার কি পূরিতে। দেবীর সন্মুখে যদি কেহ ভক্তি ভরে। নরবলি রূপে তব শিরশেছদ করে ॥ কেমন তোমার চিত্ত করে বল ভাই । পশু ছাড়ি দেহ মুহি চক্ষে দেখে ধাই। অষ্টভূজা ভগবতী মদ্যমাংস খাবে। একথা শুনিলে সাধু হাসিয়া উড়াবে। সনাতন ধৰ্ম্মে দেহ নিজ নিজ মন । শাস্ত্র অনুসারে ছাড় মন্দ আচরণ ॥ পরম বৈষ্ণবী দেবী মাংস নাহি খায়। তবে কেন বলিদানে ভূলাও র্তাহায় ॥ করিলে জীবের হিংসা যদি ধৰ্ম্ম হয় । তবে কেন দক্ষ্যগণে সাধু নাহি কয় ॥ . প্রতিদিন মৎস্তজীবী বহু মৎস্ত মারে। তবে কেন ধাৰ্ম্মিক না কহিব তাহারে ? নরহত্যা পশুহত্যা হয় মহা পাপ । এই পাপ আচরিলে বাড়িবে ত্রিতাপ ॥ অষ্টভুজা ভগবতী দেখিবারে গিয়া । এই উপদেশ দিলা শাস্ত্র বিচারিয়া ॥ হর্গারে পূজিতে এসেছিল যেই জন । ভক্তি করি প্রভু বাক্য করিলা শ্রবণ ॥ শুনিয়া প্রভুর বাক্য বৈরাগ্য হইল। বলির ছাগল তবে ব্রাহ্মণ ছাড়িল ॥ পুষ্প আর বিবদলে পূজি বিপ্রবর। আনন্দে ফিরিয়া গেল আপনার ঘর। দেবীর সম্মুখে প্ৰভু আঁটিয়া বসিল । জোড় হস্তে ভবানীর স্তব আরম্ভিল । স্তুতি নতি ভবানীরে করি গোর রায়। মহাতীর্থে তাপতী নদীর দিকে ধায় ॥ তিন সন্ধ্যা স্নান করি তাপতীর জলে । বামন দেবের মূৰ্ত্তি দেখিবারে চলে।