পাতা:গোবিন্দ দাসের করচা.djvu/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গোবিন্দ দাসের করুচ। ግእ দেখিতে দেখিতে চিহ্ন প্রেমের নিঝর। সহসা উখলি তার উঠিল অন্তর ॥ ভাবে গদ গদ প্রভু ধীরে ধীরে বলে। পাও ভাই তুমি সাধু কি রত্ন দেখালে। নিত্য তুমি সুখলাভ কর দরশনে। তব সম পুণ্যবান দেখি না নয়নে ॥ পাষাণ হৃদয়ে যদি এ চিহ্ন পড়িত। ব্ৰহ্মানন্দ মুখ তবে নিত্য উপজিত ॥ পদচিহ্নে রাখি শির গোরা বিনোদিয়া । তদুপরি বার বার পড়ে লোটাইয়া । বেত্রযষ্টি সম সেই ক্ষীণ কলেবর। ফুলিয়া উঠিল প্রেমে পেয়ে অবসর ॥ চরণ পরশি প্রভু নয়ন মুদিল । হৃদয় বাহিয়া অশ্রু পড়িতে লাগিল ॥ পদ প্রদক্ষিণ করে করতালি দিয়া । কটিবন্ধ জটবন্ধ পড়িল খসিয়া ॥ ভাব দেখি রামানন্দ অজ্ঞান হইল । গোবিন্দ চরণ ভূমে লোটায়ে পড়িল ৷ পৰ্ব্বত হইতে নামি মোর গোরা রায় । ভদে নামে নদীতীরে রজনী কাটায় ॥ প্রভাতে উঠিয়া সবে নদী পারে যাই । ধম্বিধর ঝারি ক্রমে দেখিবারে পাই ॥ অত্যন্ত বিস্তৃত হয় ধম্বিধর ঝারি। ঝারি খণ্ড দেখে ত্ৰাস হইল আমারি ॥ সিংহ ব্যাস্ত্ৰ নানা জন্তু থাকে এই স্থানে। ইহা ভাবি ভয় বড় হইল পরাণে ॥ ইঙ্গিতে বুঝিয়া প্ৰভু মোর অভিলাষ। হাসিয়া বলিলা কেন বৃথা কর ত্রাস ॥ एनिनां म यमखघ्न यद्द् िबि ब्रि । তবে কেন ঝারি খণ্ড দেখে পাও ভয় ॥ দলগুদ্ধ লয়ে মোরা হই ষোল জন। ঝারি মধ্যে প্রবেশিলা শচীর নন্দন ॥ জঙ্গলের শোভ হয় অতি মনোহর। কি কব শোভার কথা কহিতে বিস্তর। কত বন্ত পুষ্প ফুটি গন্ধ যোগাইছে। কত শত বৃক্ষ লতা বাতাসে জুলিছে। ডালে বসি নানা পক্ষী করিতেছে গান । সে গান শুনিলে হয় আকুল পরাণ ; মধ্যে এক পথ মাত্র দুধারে জঙ্গল । মাঝে মাঝে দেখা যায় সন্ন্যাসীর দল ৷ মাথার উপর স্বৰ্য্য দেখিবারে পাই । অমনি ক্ষুধার তরে ইতি উতি চাই ॥ ভিক্ষার লাগিয়া এবে কণর দ্বারে যাব। গ্রাম্য লোক নাহি এথা ভিক্ষা কোথা পাব । দুই ধারে নানা বৃক্ষে ধরিয়াছে ফল । ফল দেখে আমার বাড়িল কুতূহল ॥ আশ্চৰ্য্য ফলের কথা কহিতে না পারি। কত ফল পাকিয়া শোভিছে সারি সারি ॥ কামরাঙ্গ সম হয় ফলের গঠন । হেন ফল কভু করি নাই আস্বাদন ॥ আশে পাশে পড়িয়াছে ফল রাশি রাশি । দুই হাতে ফল খায় যতেক সন্ন্যাসী ॥ আজ্ঞা বিনা ফল নাহি খাইবারে পারি। কিন্তু ফল দেখে লোভ হইল আমরি । গুটিকত ফল লই প্রভুর কারণ। অপরাহ্নে প্ৰভু ফল করে নিবেদন ॥ দুই চারি ফল তবে আস্বাদ করিয়া। মোদের খাইতে বলে গোরা নিবেদিয়া ॥ উদর পুরিয়া ফল যত পারি খাই। খড়িয়ার মধ্যে লই আর যত পাই ॥ টুপটাপ খায় ফল গোবিন্দ চরণ। রামানন্দ ধীরে ধীরে করে আস্বাদন ॥ আশ্চৰ্য্য ফলের গুণ দেখিল সকলে । ক্ষুধা তৃষ্ণ দুই হরে সেই বন্ত ফলে । চৌশিরা সিজ সম যেই গাছ শোভে । আশ্চৰ্য্য তাহার ফল খাই অতি লোতে ॥