পাতা:গোবিন্দ দাসের করচা.djvu/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հ Ն বড়ই ভজনানন্দী রামাননা হয়। তার কথা মনে হৈলে জুড়ায় হৃদয় ॥ সাধকের শিরোমণি রামানন্দ রায়। . নির্জনে বসিয়া রায় কৃষ্ণ গুণ গায় ॥ " হরেকৃষ্ণ বলিতে যাহার অশ্রু বহে । বিরক্ত বৈষ্ণব তারে ভাগবতে কহে ॥ মুচি যদি ভক্তি সহ ডাকে কৃষ্ণ ধনে। কোটি নমস্কার করি তাহার চরণে ॥ কৃষ্ণভক্ত রামানন্দ হয় পূজনীয়। রামানন্দরায় মোর প্রাণ হৈতে প্রিয় ॥ প্রাণের সমান রামাননো ভালবাসি । পরম বৈষ্ণব রায় বিরক্ত সন্ন্যাসী ॥ বিষয়েতে অনাসক্ত হয় রাম রায় । নিত্য রাধাকৃষ্ণে রায় দেখিবারে পায় ॥ বহু অর্থ রামানন্দ তৃণ সম গণি । প্রেম সহ কৃষ্ণে ডাকে দিবস রজনী ॥ দেখিয়াছি কৃষ্ণ বলি ডাকিতে ডাকিতে । প্রেমে মত্ত হয়ে রায় থাকয়ে কঁাপিতে ॥ কৃষ্ণ নামে প্রেম অশ্রু বিসর্জন করে। অজ্ঞান হইয়া পড়ে পৃথিবী উপরে ॥ রায়ের বিরহ আর নাহি সহে প্রাণে । চল শীঘ্ৰ ষাই সবে রায় সন্নিধানে ॥ এই কথা বলি প্রভু বাহির হইল । শত শত লোক তার পেছনে চলিল ॥ মিষ্টবাক্যে গ্রাম্য লোকে করিয়া বিদায় । খাড়ীর নিকটে চলে মোর গোর রায় ॥ ভৰ্গদেব দল বল লয়ে আপনার । থাড়ীর ধারেতে আসে হইবারে পার । একে একে সকলেতে পার হয়ে আসি । গুজরাটে আদে মোর নদের সন্ন্যাসী ৷ আশ্বিনের শেষ দিনে বরদা নগরে । ফিরে আসি প্রভু মোর হরিনাম করে ॥ গোবিন্দ চরণ মুহি ভিক্ষা করিবারে। উপস্থিত হইলাম গৃহস্থের দ্বারে । । ফল মূল আটা চুণা যাহা ভিক্ষ পাই। শুদ্ধভাবে সেই গুলি আনিয়া যোগাই। বৃক্ষতলে জাডড করি প্রভু ভোগ দিল । 'প্রসাদ পাইয়া সবে কৃতার্থ হইল । পরদিন যাত্রা করি বরদা হইতে । দক্ষিণ ভাগেতে প্ৰভু লাগিল চলিতে ॥ ষোল দিন পরে আসি নৰ্ম্মদীর তীরে। স্বান করি সবে মোরা নৰ্ম্মদার নীরে ॥ প্রভু বলে ভৰ্গদেব যাবে কোন স্থলে । যাইবে কি মোর সঙ্গে তুমি নীলাচলে । প্রভুর সম্মুখে ভর্গ হাত কচালিয়া । বলে মুহি দক্ষিণেতে যাইব চলিয়া ॥ মোহস্ত আদিত্য রাজ লোম বোম্ নগরে ৷ ভক্তি সহ রণছোড় জীর সেবা করে ॥ মোর পরণাম প্রভু করহ গ্রহণ । কৃপা করি দেহ মোর মস্তকে চরণ ॥ এত বলি ভৰ্গদেব লুটায়ে পড়িল । দুই হস্তে পদযুগ চাপিয়া ধরিল। ভর্গ বলে তুমি কৃষ্ণ তুমি মোর হরি। ভিক্ষা দেহ চরণ স্মরিয়া যেন মরি ॥ আপনার লীলা খেলা আপনি দেখিতে। দ্বারকায় গেলে তুমি লোকেরে ছলিতে | যাহোক মাথায় মোর দেহ পদ তুলি । ভুলাইতে না পারিবে আর নাহি ভুলি । প্রভু বলে ভর্গ তুমি কেন হেন কহ। কেমনে এমন কথা আমারে বলহ ॥ পথে পথে লমি মুহি হয়ে উদাসীন । অন্ন নাই বস্ত্র নাই অতি দীন হীন ॥ এই ছত্রের অর্থ ভাল বোঝা গেল ন ।