পাতা:গোবিন্দ দাসের করচা.djvu/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిచి গোবিন্দ দাসের করচা

  • সাহিত্য পরিষদ হইতে প্রকাশিত জয়ানন্দের চৈতন্যমঙ্গল আমি ও ৮ কালিদাস নাথ উভয়ে সম্পাদন করি। লেখক মহাশয় এক মাত্র পুথির সাহায্যে উক্ত সম্পাদনের কথা লিখিয়াছেন, বাস্তবিক তাহা নহে। চৈতন্তমঙ্গলের আমি বহু পুথি দেখিয়াছি এবং তাহাতে “গোবিন্দ কৰ্ম্মকার” পাঠই আছে, কোথাও গোবিন্দানন্দের পাঠ কাটিয়া “গোবিন্দ কৰ্ম্মকার” বসান হয় নাই । লেখক যে মিথ্যা লিখিয়াছেন, তাহা বলাই বাহুল্য । ভবদীয় শ্ৰীনগেন্দ্র নাথ বসু ২২/২২৫ সন ।”

চৈতন্তদেব বেশ্বাসক্ত ও সহজিয় ছিলেন এরূপ কথা করচায় লিখিত আছে বলিয়া যে অভিযোগ করা হইয়াছে তাহা সত্যের আর একটি ঘোর অপলাপ । গোবিদের করচায় যেখানে সত্যবাই নামক বেশু্যার কথা আছে ( ২৪-২৬ পৃষ্ঠা ) তাহা নিম্নে সম্পূর্ণ উদ্ধত করিয়া দিতেছি। পাঠক বিচার করিবেন, মহাপ্রভুর চরিত্র এই লেখায় উজ্জল হইয়াছে কিম্বা মলিন হইয়াছে। কথিত আছে এক সময় পাবনী গঙ্গার ধারায় ঐরাবত ভাসিয়া গিয়াছিল। মহাপ্রভুর উদাম ভক্তি গঙ্গাধারায় যে কত পাপীতাপী সেরূপ ভাসিয়া গিয়া তাহার পুণ্য প্রভাবান্বিত হইয়াছিল, তাহার ইয়ত্ত্বা নাই। নিম্নলিখিত ছত্রগুলি পাঠ করিলে পাঠক সেই ভক্তি গঙ্গার অনাবিল সৌন্দর্য্যের আভাস পাইবেন । ইহা হইতে যাহারা এরূপ উৎকট কদৰ্থ বাহির করিতে পারেন, তাহারা নিজের হৃদয়ের নিকট অকপট, একথা বলিতে প্রবৃত্তি হয় না। র্তাহারা ইচ্ছা পূৰ্ব্বক লোককে উত্তেজিত করিবার জন্য সত্যের মপলাপ করিতেছেন ইহাই মনে হয়। করচার লেখা এইরূপ :–

  • প্রসাদ পাইমু মুহি অমৃত সমান। হেনকালে আইলা সেথ তীর্থ ধনবান। দুইজন বেশু সঙ্গে আইল দেখিতে। সন্ন্যাসীর ভারিভুরি পরীক্ষা করিতে ॥ সত্যবাই লক্ষ্মীবাই নামে বেঙ্গাদ্বয়। প্রভূর নিকটে আদি কত কথা কয় ॥ ধনীর শিক্ষায় সেই বেষ্ঠা দুই জন । প্রভুরে বুঝিতে বহু করে আয়োজন ৷ তীর্থ রাম মনে মনে নানা কথা বলে। সন্ন্যাসীর তেজ এবে হরে লবে ছলে ॥ কত রঙ্গ করে লক্ষ্মী সত্যবালা হাসে । সত্যবালা হাসি মুখে বসে প্রভুর পাশে । কাচুলী খুলিয়া সত্য দেখাইলা গুণ। সতেরে করিলা প্ৰভু মাতৃ সম্বোধন ॥ খরথরি কাপে সত্য প্রভূর বচনে। ইহা দেখি লক্ষ্মী বড় ভয় পায় মনে । কিছুই বিকার নাই প্রভূর মনেতে। ধাইয়া গিয়া সত্যবালা পরে চরণেতে ॥ কেন অপরাধী কর আমারে জননি। এইমাত্র বলি প্রভূ পড়িলা ধরণী ॥ খসিল জুট্রার ভার ধূলায় ধুসর। অমুরাগে থরথর কাপে কলেবর ॥ সব এলোথেলো হল প্রভূর আমার । কোথা লক্ষ্মী কোথা সত্য নাহি দেখে আর । নাচিতে লাগিলা প্ৰভু বলি হরি হরি। লোমাঞ্চিত কলেবর অশ্র দর দরি। গিয়াছে কৌপিন খসি কোথা বহিৰ্ব্বাস । উল্লাঙ্গ হইয়া নাচে ঘন বহে শ্বাস ॥ আছাড়িয়া পড়ে নাহি মানে কাটা খোচা । ছিড়ে গেল কণ্ঠ হইতে মালিকার গোছা । না খাইয়া অস্থি চৰ্ম্ম হইয়াছে সার। ক্ষীণ অঙ্গে বহিতেছে শোনিতের ধার ॥ হরি নামে মত্ত হয়ে নাচে গোরারায় । অঙ্গ হইতে অদভূত তেজ বাচিরায় ৷ ইহা দেখি