পাতা:গোবিন্দ দাসের করচা.djvu/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা (፫ (፫ কৃষ্ণদাস নামক একটি ব্রাহ্মণ যে খানিকট। দূর পর্য্যস্ত চৈতন্তের অনুগামী হইয়াছিলেন, তাহা করচাতেই পাওয়া যাইতেছে । ( ২১ পুঃ ) কবিকর্ণপুরের চৈতন্তচন্দ্রোদয় নাটক এবং বৃন্দাবন দাসের চৈতন্য ভাগবত এই উভয়ই বৈষ্ণব সমাজের সর্বজনাদৃত প্রামাণিক গ্রন্থ এবং উভয়ই চৈতন্য চরিতামৃতের পূৰ্ব্ববৰ্ত্তা। ইহাদের কোনটিতেই কৃষ্ণদাস নামক ব্রাহ্মণের দক্ষিণগমনের উল্লেখ নাই। চৈতষ্ঠ ভাগবতে দাক্ষিণাত্যের বিশেষ কোন উল্লেখ দেখা যায় না। কিন্তু চৈতন্ত্য-চন্দ্রোদয়ে স্পষ্ট করিয়া লিখিত আছে যে কোন ব্রাহ্মণকেই চৈতন্যদেব র্তাহার সহিত দক্ষিণে যাওয়ার অনুমতি দেন নাই। যে সকল ব্রাহ্মণ তাতার সঙ্গে খানিকটা দূর গিয়াছিলেন, তাহার গোদাবরী তীর পর্য্যস্ত যাইয়া তাহার আদেশে ফিরিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। চৈতষ্ঠ দেবের সঙ্গে দাক্ষিণাত্য ভ্রমণের জন্য কোন ব্রাহ্মণ সহচর নিযুক্ত না করাতে রাজ প্রতাপ-রুদ্র বাসুদেব সাৰ্ব্বভেীমের উপর বিরক্তি প্রকাশ করিলে পণ্ডিত-প্রবর রাজাকে স্পষ্টই বলিয়াছিলেন, যে মহাপ্ৰভু তাহার সঙ্গে কোন ব্রাহ্মণ লইতে স্বীকার করেন নাই, এইজন্ত যাহারা গোদাবরী পৰ্য্যস্ত প্রভুর অমুগমন করিয়াছিলেন, সেই সকল ব্রাহ্মণ ফিরিয়া আসিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। কৃষ্ণদাস যে শুধু গোদাবরী তাঁর পর্য্যন্ত গিয়াছিলেন, চৈতন্য চন্দ্রোদয়ের এই কথায় তাহ দৃঢ়রূপে প্রমাণিত হইতেছে। সুতরাং আমরা করচার প্রমাণকে সত্য বলিয়া গ্রহণ করিয়া এইমাত্র বলিতে পারি যে কৃষ্ণদাস খানিকটা দূর পর্যন্ত (গোদাবরা তীর পর্য্যস্ত ) দক্ষিণ যাত্রার অনুগমন করিয়াছিলেন। ব্রাহ্মণের এই খানিকট যাওয়ার কথা জনশ্রুতির উপর নির্ভর করিয়া চৈতন্ত চরিতামৃতকার তাহাকে চৈতন্তের দীর্ঘ প্রবাসের সঙ্গী সাব্যস্ত করিয়াছিলেন। বিশেষ দেখা যায় কৃষ্ণদাস নদিয়ায় গমন করিয়া শচীদেবীকে প্রভুর পূরীতে প্রত্যাগমনের সংবাদ দিতেছেন। এই স্বত্রে পরবত্তী কালে কেহ কবিরাজ গোস্বামীকে ভূল সংবাদ দেওয়া সম্ভব । চৈতন্য ভাগবত, জয়ানন্দের চৈতন্যমঙ্গল, কবি কর্ণপুরের নাটক এবং লোচনদাসের চৈতন্যমঙ্গল প্রভৃতি স্বপ্রাচীন পুস্তক—যাহা খাস বঙ্গদেশে বসিয়া লেখকের লিখিয়াছিলেন, তাহীদের কোনটিতেই ক্লষ্ণদাসকে প্রভুর দাক্ষিণাত্য,—প্রমণের সঙ্গী বলিয়া উল্লেখ করা হয় নাই। সুতরাং একমাত্র চরিতামৃতোক্ত প্রবাদ আমরা প্রামাণিক বলিয়া গ্রহণ করিতে পারি না । চরিতামৃত করচার প্রায় ১০৪ * বৎসর পরে লিখিত হয়। গ্রন্থকার বৃদ্ধ কবিরাজ গোস্বামী ১৬ বৎসর বয়স হইতে ৯৩ বৎসর বয়স পর্ষ্যস্ত অবিচ্ছিন্ন ভাবে বৃন্দাবনে ছিলেন। তখন বৃন্দাবনের পথ অতি দুর্গম ছিল। স্বতরাং তাহাকে অনেকটা জনশ্রুতির উপর S SBB BBBBBS BBB BBB BB BBBBB BBBB BBBB BBBB BBS