পাতা:গোবিন্দ দাসের করচা.djvu/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

qb" গোবিন্দ দাসের করচা দেখা যায় মহাপ্ৰভু জগন্নাথ-মন্দির হইতে রাত্রে কোথার ছুটি গিয়াছেন, গোবিন্দ পাগল হইয়া তাহাকে খুজিতেছেন। মহাপ্রভূর তিরোধানের পর গোবিনা কোথায় গেলেন, তাহার সন্ধান পাওয়া যায় নাই। তবে মহাপ্রভুতে তদগত প্রাণ এরূপ অন্তরঙ্গ ভূত্য যে তাহার স্বৰ্গীয় সঙ্গচ্যুত হইয়া বেশী দিন জীবিত ছিলেন, তাহ মনে হয় না। করচা সম্বন্ধে আর কয়েকটি কথা আমরা গোবিন্দের করচাকে মহাপ্রভুর জীবনী সম্বন্ধে সৰ্ব্ব বিষয়ে প্রামাণ্য গ্রন্থ মনে করিলেও আমাদেব কয়েকটি ধারণা পাঠকের অবগতির জন্য লিখিতেছি । গোবিন্দদাস যে সৰ্ব্বদাই নিভুল একথা বলা যায় না। তিনি হয়ত প্রত্যহই করচা লিখিতে সুবিধা পান নাই, পথে কোন কোন সময় বহুদিন জঙ্গলে কাটাইতে হইয়াছে। অনেক সময় নানা অসুবিধার মধ্যে চলিয়াছেন, এ অবস্থায় হয়ত ১০১৫ দিন পরে পরে করচ, লেখা তাহার পক্ষে অসম্ভব নহে। এই সময়ের মধ্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়ের স্মৃতি হয়ত মলিন হইয়া গিয়াছে এবং তজ্জন্ত কিছু কিছু ভুল ভ্রান্তি ঘটিয়াছে। করচার প্রথম দিকটার তিনি কিছু নোট করিয়া রাখিয়াছিলেন, তাহা শেষে পয়ারে পরিণত করেন। এজন্ত প্রথম দিকটা খুব সংক্ষিপ্ত। দক্ষিণাত্য ভ্রমণের পথে প্রচুর অবকাশ পাইয়া একাস্তে তিনি নোট করার সঙ্গে সঙ্গে কিংবা অব্যবহিত পরেই পয়ার করিয়াছিলেন, এজন্ত তৎসময়ের বৃত্তান্ত, খুব জীবন্ত ও হৃদয় গ্রাহী। করচ, সংক্ষিপ্ত, সুতরাং ইহাতে অনেক কথা বাদ পড়িতে পারে। মহাপ্ৰভু সে দেশে পৰ্য্যটন করিয়া তামিল ও তেলও শিখিয়াছিলেন (*কখন তামিল বুলি বলে গোর রায় । কখন সংস্কৃত বলি লোকেরে বুঝায় ॥– এই দেশে ভ্ৰমি দীর্ঘকাল। সকলের ভাষা বোঝে শচীর দুলাল ।” ৬২ পৃ: ) সুতরাং গোবিন্দদাস মাঝে মাঝে প্রভুর নিকট হইতে কোন কোন কথা জিজ্ঞাসা করিয়া টুকিয়া রাখিয়াছেন। কিন্তু সকল কথা বুঝিতে পারেন নাই। যাহারা ইতিহাসের কোন ধার ধারেন না, তাহঁাদের জন্ত অচ্যুত বাবু একটা প্রমাণ দাড় করাইয়াছেন। সে প্রমাণ সকলের গ্রাহ নাও হইতে পারে, কিন্তু গোড়া বৈষ্ণবের নিকট তাহা অনেক ঐতিহাসিক প্রমাণ হইতেও গুরুতর বলিয়া গণ্য হইবে। অচ্যুতবাবু লিখিয়াছেন -এসব প্রমাণের উপর অতিরিক্ত আর একটি প্রমাণ আছে, তাহা আধ্যাত্মিক প্রমাণ। নাম বলিব না, আমরা অবগত অাছি জনৈক উচ্চ শিক্ষিত গৌরাস্থগতভক্ত ধ্যানাবস্থায় এই গোবিন্দের করচার বর্ণিতরূপে কোন কোন স্থান ও লীলা প্রত্যক্ষ করেন, স্বপ্নে বা মোহের ঘোরে নহে–জাগ্রতে। এতদপেক্ষা এই গোবিনের করচার প্রামাণ্যতা