পাতা:গোলকুণ্ডা - ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় দৃশ্য ] গোলকুণ্ড । У e З জীবনের দিকে সে মুখ ফেরালে। আপনার নাম নিয়ে নিমন্ত্ৰণ ক’রে যখন তার অভিপ্ৰায় জানতে চাইলুম, তখন সে বললে, “আবার আমার বাঁচবার ইচ্ছা হয়েছে।” জেনে, বিপুল আনন্দে, তাকে পালকিতে উঠতে অনুরোধ করুলুম ; দাড়াতে অশক্ত, তবু সে উঠলো না। সে জীবন চায়, কিন্তু নারীর অসম্মান করে” মৃত্যু-জড়ানো জীবন চাইলে না ; বললে, “চল দু’জনেই হেঁটে যাই।” কি বাবা শুনছেন ? কুতব ! বল, বল শুনছি। আ৫ জবন্দ ! অজার। তখন তার হাত ধরবার অনুমতি চাই লুম। দীর্ঘ বাহু বিস্তার ক’রে সে আমাকে বললে, ‘ধর’ । বাবা, আপনি যখন এলেন, তখন আমার কাধের উপর তার হাত । ছবির তখন আধখানা ভেঙে গেছে। পূর্ণ ছবি মানুষে দেখতে পেলে না। চারি পাশে। কতকগুলো DJDJK DBD SS SDBB SBBBBSBDL S SDBD DDSS S KJ0DB BDDBDDBB DDDYS দেখতে পেলে না । গাছগুলো পাখীর উল্লাস-ভরা কলরবে দেখবার অবসর পেলে না। যার হাত ধরলাম, তার বুঝি তখন দৃষ্টির সর্ব সামৰ্থ্য চলে গেছে। দেখা হ’ল না। দেখলুম এক মাত্র আমি । কুন্তব্য। তাইত মা, এত কথা পেটের ভিতর পূরে এতদিন তুমি চুপ করে আছ! আরজ। সেও ত চুপ করে আছে বাবা ! অন্ততঃ আপনার কাছে আমার সম্বন্ধে যাহা’ক একটা কৃতজ্ঞতার কি ক্ৰোধেব-যাহ’ক একটা কথা কওয়াও ত উচিত ছিল তার ! সে বলেনি ! জীবনে তার মমত। এসেছে। মমতার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্কোচ। খানজাদীর নিষেধ অগ্ৰাহ করে, যখন গোলকুণ্ডার রাজ-কন্যার দিকে এসেছিল সে, তখন সে জীবনে মমতাশূন্য। আমাকে বানৱী ব’লে, আর মুখ না ফিরিয়ে যখন সে চলে গেল, তখন মৃত্যুকে আলিঙ্গন করবারই তার ইচ্ছা হয়েছিল।