পাতা:গোলকুণ্ডা - ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१ पृथं] ] (श्रीलंकू७l । ዓዓ ছাই বুঝেছিস হতভাগ্য, তুচ্ছ মানিবের অতি তুচ্ছ নিৰ্বোধ অনুচর ! তোকে দেখে এক লহমায় আমার বুকে সমস্ত দেহসন্ধিশিথিল করা কাপুনি জেগে উঠেছিল! পারে যা, পারে যা—যতদূর, যতদূর, যতদূর পারিস—ত্রিশ-পারে চলে যা। যা হতভাগা, অজ্ঞাতকুলশীল ! তোর ওই স্বরূপ-গোপন-করা প্ৰতারক ত্ৰিশ, গুপ্ত শত্রুর বারুদ ভরা বালাঘাটের রন্ধগুলোর চেয়েও শতগুণ বিভীষিকা নিয়ে আমার চলাবার পথ রোধ করতে এসেছিল। ওরে ও আমার পঞ্চ দিবসের দুনিয়া-প্রবাসী চির-পরপারের শিশু ! ওইখান থেকে, যেখানে চন্দ্র, যেখানে সুৰ্য্য, যেখানে নক্ষত্র মানুষ-জীবনের রহস্য-কথার আলাপ করে, সেই পরপর থেকে তুই আমার সেলাম নে। তোর কৃপায় আজ আমি বালাঘাট-বিজয়ী। তোর দান আজ আমাকে গোলকুণ্ডার উজারি দিয়েছে।-কিন্তু দোহাই শিশু, দোহাই আমার সৌভাগ্য-দাতা প্ৰিয়তম, এপারে এসোনা, এপারে এসোনা, কোনও রূপে, কোনও আকারে তোমার অস্তিত্বের আভাস নিয়ে এপারে এসোনা । এ উজারির আসনেও স্থির হয়ে আমি বসতে পারছি না-আরও উপরে, আরও উপরে ওঠবার জন্য আমার পা চঞ্চল হয়ে উঠেছে। আমি আজ তোমার কৃপায় এমন সমৃদ্ধিশালী রাজ্য জয় করেছি, যা তুলনায় গোলকুণ্ডারও চেয়ে মূল্যবান । আমার এ পুরুষকারের ফলভোগী হবে ওই দুৰ্বল প্রকৃতি রাজা । দোহাই প্ৰিয়তম, চঞ্চল চরণ-গতিরোধ ক’রন-গতিরোধ ক’রন । (আওরঙ্গজেবের প্রবেশ ) কে-কে ? কে তুমি ? কে আপনি ?-ফকীর ?-ওই যুবক— ওই যুবক-ও কি আপনারই ভৃত্যত্ব অঙ্গীকার করেছে ? আও। এখানে আমার ভৃত্য কেউ নেই। আমি আপনাকেই