লেখমালা।
वहि-श्चिह्नितं अङ्कितं; स्थिरं दृढ़ं, शासनं, शिष्यन्तो भविष्यन्तो नृपतयः अनेन; दानाच्छ्रेयोनुपालनमिति, शासनं कारयेत् महीपति र्न भोगपतिः सन्धिविग्रहादि-कारिणा न येन केनचित्।
सन्धिविग्रहकारी तु भवेत् य स्तस्य लेखकः।
स्वयं राज्ञा समादिष्टः स लिखेत् राज-शासनम्॥
इति स्मरणात्। दानमात्रेणैव दानफले सिद्धे, शासनकारणं भोगाभिवृह्या फलातिशयार्थम्।”
তাম্রশাসনগুলি যে এইরূপ ভাবেই সম্পাদিত হইত, তাহার পরিচয় সকল তাম্রশাসনেই কিছু কিছু প্রাপ্ত হওয়া যায়। সংস্কৃত কাব্যাদিতেও তাহার পরিচয়ের অভাব নাই। “শিশুপাল বধ” কাব্যের চতুর্দ্দশ সর্গের ৩৬ শ্লোক তাহার একটি সুপরিচিত নিদর্শন। যথা,—
“स स्वहस्तकृतचिह्नशासनः पाकशासन-समानशासनः।
आ-शशाङ्कतपनार्णवस्थिते र्विप्रसादकृत भूयसी र्भुवः॥”
কোন্ সময় হইতে, কিরূপ ঘটনাচক্রে, এই শ্রেণীর লিপি-ব্যবহার প্রচলিত হইয়াছিল, তাহার কোনরূপ লিখিত প্রমাণ অদ্যাপি আবিষ্কৃত হয় নাই। সুতরাং তৎসম্বন্ধে কোনরূপ অভ্রান্ত সিদ্ধান্তের অবতারণা করিবার উপায় নাই।
যে দেশের লিখিত ইতিহাস বর্ত্তমান নাই, সে দেশের পুরাতত্ত্ব সঙ্কলিত করিতে হইলে, এই শ্রেণীর পুরাতন লিপিকে প্রধান উপাদান বলিয়াই স্বীকার করিতে হইবে। সুতরাং শতবর্ষ পূর্ব্বেই পুরাতন লিপির পাঠোদ্ধারের জন্য নানা চেষ্টা প্রবর্ত্তিত হইয়াছিল। তাহা ক্রমে ক্রমে বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে পরিচালিত হইয়া, অনেক পুরাতন-লিপির প্রকৃত পাঠ জনসমাজে সুপরিচিত করিয়া দিয়াছে। এই শ্রেণীর লিপি “ইতিহাস” বলিয়া কথিত হইতে পারে না;—সেরূপ প্রয়োজনেও ইহা উদ্ভাবিত হয় নাই। তথাপি ইহাতে প্রসঙ্গক্রমে সমসাময়িক নানা বিবরণ উল্লিখিত হইয়াছিল বলিয়া, ইহাকে প্রত্যাখ্যান করিবার উপায় নাই। এই সকল লিপির পাঠোদ্ধারে ও ব্যাখ্যাকার্য্যে পাণ্ডিত্য এবং অধ্যবসায় প্রকাশিত করিয়া, মনীষিগণ [শত বর্ষের চেষ্টায়] যে সকল ঐতিহাসিক তথ্য সঙ্কলিত করিতে সমর্থ হইয়াছেন, তাহার উপরেই পুরাতন রাজবংশ-বিবরণের ভিত্তি সংস্থাপিত হইয়াছে। কেবল তাহাই নয়,—জনশ্রুতি হইতে, পুরাতন সাহিত্য হইতে, পুরাতন মুদ্রা হইতে, পুরাতন স্থাপত্যের ও ভাস্কর্য্যের ধ্বংসাবশিষ্ট নিদর্শন হইতে, পুরাকালের যাহা কিছু
৪