লেখমালা।
কোন কোন স্থান ঠিক্ বুঝিতে না পারায়, স্থানে স্থানে মূল শব্দ অবিকলব্যাখ্যা-কাহিনী। রক্ষিত হইল।” এই শাসন-লিপিতে যে সকল পূর্ব্বপরিচিত শ্লোক দেখিতে পাওয়া যায়, তাহার সংখ্যাই অধিক; এবং তাহার ব্যাখ্যা-কার্য্য পূর্ব্বেই সম্পন্ন হইয়াছে। বসু মহাশয়ের বঙ্গানুবাদ সর্ব্বাংশে মূলানুগত না হইলেও, তাঁহার চেষ্টা বঙ্গানুবাদ-সাধনের প্রথম চেষ্টা বলিয়া উল্লেখযোগ্য।
এই তাম্রশাসনখানির আয়তন ১৫১৪ × ১৫ ইঞ্চ বলিয়া পরিষৎ-পত্রিকায়, এবং ১৫৩৪ × ১৬ ইঞ্চ বলিয়া সোসাইটির পত্রিকায় উল্লিখিত আছে। পরিষৎ-পত্রিকায় এবং বিশ্বকোষে এই শাসনলিপিরলিপি-পরিচয়। একটি অস্পষ্ট প্রতিকৃতি প্রকাশিত হইয়াছে। তাম্ৰাপট্টে পাল-নরপালগণের চিরপরিচিত ধর্ম্মচক্রমুদ্রা সংযুক্ত আছে, তন্মধ্যে “শ্রীমদনপালদেবস্য” খোদিত থাকা দেখিতে পাওয়া যায়। তাম্রপটের প্রথম পৃষ্ঠে ৩৫ পংক্তি এবং অপর পৃষ্ঠে ২৩ পংক্তি সংস্কৃত ভাষানিবদ্ধ পদ্যগদ্যাত্মক লিপি উৎকীর্ণ হইয়াছিল। অক্ষরগুলি বিনষ্ট হয় নাই, কেবল লিপিকর-প্রমাদে অথবা কাল-প্রভাবে কোন কোন স্থলে অক্ষরাংশের অথবা চিহ্নাদির কিছু কিঞ্চিৎ ব্যতিক্রম ঘটিয়াছে। ইহাতে বর্ণাশুদ্ধির অভাব নাই। শ এবং স যথেচ্ছভাবে ব্যবহৃত হইয়াছে। এক সময়ে “শিব” লিখিতে লোকে “সিব” লিখিত কেন, ইহাতে তাহার পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায়। গৌড়ীয় লিপি-পদ্ধতি কিরূপ ছিল, এই সকল প্রাচীন লিপিই তাহার বিশিষ্ট প্রমাণ।
মদনপালদেবের পট্টমহিষী চিত্রমতিকাদেবী বেদব্যাস-প্রোক্ত মহাভারত পাঠ করাইয়াছিলেন। তাহার দক্ষিণা প্রদানের জন্য, বিজয়-রাজ্যের অষ্টম সম্বৎসরে, [৫৮ পংক্তি] পরমসৌগত মহারাজাধিরাজলিপি-বিবরণ। রামপালদেবের পাদানুধ্যাত পরমেশ্বর পরমভট্টারক মহারাজাধিরাজ শ্রীমন্মদনপালদেব, [৩১-৩২ পংক্তি] শ্রীরামাবতীনগর-পরিসর-সমাবাসিত-শ্রীমজ্জয়স্কন্ধাবার হইতে, [৩০ পংক্তি] পণ্ডিত ভট্টপুত্র শ্রীবটেশ্বর স্বামিশর্ম্মাকে, [৪৪ পংক্তি] শ্রীপৌণ্ড্রবর্দ্ধনভুক্তির অন্তর্গত কোটীবর্ষ-বিষয়ের অন্তঃপাতি হলাবর্ত্ত-মণ্ডলে [৩২ পংক্তি] এই তাম্রশাসনোল্লিখিত ভূমি দান করিয়াছিলেন। সান্ধিবিগ্রহিক ভীমদেব ইহার “দূতক” [৫৭ পংক্তি] ছিলেন। তথাগতসর নামক শিল্পিকর্ত্তৃক [৫৮ পংক্তি] এই তাম্রশাসন উৎকীর্ণ হইয়াছিল।
প্রশস্তি-পাঠ।
१ ॐ नमो बुद्धाय॥
स्वस्ति॥
मैत्री ङ्कारुण्यरत्न-प्रमुदित-हृदयः प्रेयसीं सन्दधानः
सम्यक्-सम्बोधि-विद्या-सरिदमलजल-क्षालि-
२
ताज्ञान-पङ्कः।
১৪৮