বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গৌড়লেখমালা (প্রথম স্তবক).djvu/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

দেবপালদেবের তাম্রশাসন।

[মুঙ্গের লিপি]
প্রশস্তি-পরিচয়।

 ১৭৮০ খৃষ্টাব্দে মুঙ্গের-নগরে কর্ণেল ওয়াট্‌সন্ কর্ত্তৃক এই তাম্রপট্টলিপি আবিষ্কৃত হয়। তৎকালে এরূপ প্রাচীন লিপি পাশ্চাত্য পণ্ডিতবৰ্গের নিকট সুপরিচিত না থাকায়, ইহাতে এক নূতনআবিষ্কার-কাহিনী। কৌতূহল সমুদ্ভূত হইয়াছিল। ইহা পালবংশীয় তৃতীয় নরপাল দেবপালদেবের ভূমিদানপত্র; মুঙ্গের-নগরে আবিষ্কৃত হইয়াছিল বলিয়া, এক্ষণে “মুঙ্গের-লিপি” নামে সুধী-সমাজে অভিহিত হইয়া আসিতেছে। এসিয়াটিক্ সোসাইটির পত্রিকায়[] [১৭৮৮ খৃষ্টাব্দে] এই তাম্রপট্টলিপির একটি লিথোগ্রাফ মুদ্রিত হইয়াছিল। তাহাতে লিপিকর-প্রমাদের অভাব ছিল না। কিন্তু তাহাই এখন একমাত্র অবলম্বন। কারণ, মূল তাম্রপট্টখানি হারাইয়া গিয়াছে। কিরূপে কাহার নিকট হইতে হারাইয়া গেল, তাহার সন্ধান প্রাপ্ত হওয়া যায় না।

 ১৭৮১ খৃষ্টাব্দে চার্লস্ উইল্‌কিন্স্ এই প্রাচীন লিপির পাঠোদ্ধার করিয়াছিলেন। কিন্তু তাঁহার উদ্ধৃত পাঠ মুদ্রিত হয় নাই। সুতরাং কিরূপ পাঠ উদ্ধৃত হইয়াছিল, তাহা জানিবারপাঠোদ্ধার-কাহিনী। উপায় নাই। এসিয়াটিক্ সোসাইটি যে লিথোগ্রাফটি মুদ্রিত করিয়াছিলেন, তদবলম্বনে [অশেষ অধ্যবসায়-বলে] অধ্যাপক কিল্‌হর্ণ যে পাঠ উদ্ধৃত ও অনূদিত[] করিয়া গিয়াছেন, তাহাই এখন এই প্রাচীন লিপির মূলানুগত প্রকৃত পাঠ বলিয়া মর্য্যাদা লাভ করিয়াছে। ইহার জন্য অধ্যাপক কিল্‌হর্ণকে কিরূপ ক্লেশ স্বীকার করিতে হইয়াছিল, তাহা সহজেই অনুমান করা যাইতে পারে। অন্যান্য প্রাচীন লিপির পাঠোদ্ধার-সাধনে অধ্যাপক কিল্‌হর্ণ যেরূপ জগদ্বিখ্যাত খ্যাতিলাভ করিয়া গিয়াছেন, তাহাতে তাঁহার গৃহীত পাঠ মূলানুগত বলিয়া স্বীকৃত হইতে পারে।[]

  1. Asiatic Researches, vol. I, pp. 123-130 and 142.
  2. Indian Antiquary, Vol. XXI, pp. 254-257.
  3. অধ্যাপক কিল্‌হর্ণ লিখিয়া গিয়াছেন,—The only passages about which I am at all doubtful and in which the re-discovery of the plate may prove me to have gone wrong, are the words Suvinayinám in line 5, Ráj-kuliya-samasta in line 40, and Kara-hiranya in line 45. For the rest, my text will, I trust, speak for itself—Indian Antiquary, Vol. XXI, p. 253. (উইকিসংকলন টীকা: তাম্রশাসনটি পরে পাওয়া যায় এবং ১৯২৫ সালে এর সঠিক পাঠ ছবিসহ প্রকাশিত হয়। এখানে দেখুন।)

৩৩