পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

§ গৌড়ীয়-সাহিত্য “শ্ৰীমদ্ভাগবতং পুরাণমমলং যদ্বৈষ্ণবৰ্ণনাং প্রিয়ং যস্মিন পারমহংস্যমেকমমলং জ্ঞানং পরং গীয়তে । যত্র জ্ঞান-বিরাগ-ভক্তি-সহিতং নৈষ্কৰ্ম্ম্যমাবিষ্কৃতং তচ্ছ স্বন সুপঠন বিচারণপরে ভক্ত্যা বিমুচেন্নরঃ ॥ এখানে ‘জ্ঞান” মানে—সম্বন্ধজ্ঞান, ‘বিরাগ' মানে—- অভিধেয়, আর ‘ভক্তি' মানে—প্রেম ভক্তি-প্রয়োজন । পারমহংসী-সংহিতা ভাগবত—একাধারে দার্শনিক-সাহিত্য, অভিধেয়-সাহিত্য ও প্রয়োজন-সাহিত্য । তাই শ্ৰীমদ্ভাগবত বৈষ্ণবগণের এত প্রিয় । “নিগমকল্প তরোগলিতং ফলং শুকমুখদম্ তদ্রব-সংযুতম্। পিবত ভাগবতং রসমালয়ং মুহুরঙ্গে রসিকা ভুবি ভাবুকীঃ ॥ নিবির্বশেষভাবে সাহিত্যের অভাব যেখানে নপুংসক-লিঙ্গ ব্রহ্মের ধারণা বা নিৰ্ব্বিশেষ চিন্মাত্র-ভাব—যেখানে চিদ্বিলাসবাহিত্য—যোগানে ত্রিপুটীবিনাশ, সেখানে ষে কথা বন্ধ, দেখা বন্ধ, চলা-ফেরা সব বন্ধ, কাজেই সেখানে আর সাহিত্যের স্থান কোথায় ? একল-বাসুদেব-বিচারে সাহিত্যের সঙ্কীর্ণত একল-বাস্থদেবের কথায় কিছু সাহিত্য আছে বটে, কিন্তু যেখানে কেবল বিষয়ের অবস্থান-জন্ত আশ্রয়ের প্রধান