পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পদাবলী-সাহিত্যে আবর্জন পূৰ্ব্বেই আমরা বলেছি, সাহিত্যের প্রাণ—অপ্রাকৃত রস বা সিদ্ধান্ত । গৌড়ীয়-সাহিত্য-ভাণ্ডারে আমরা তাকেই গ্রহণ করব, যেখানে সাহিত্যের প্রাণবধ হয় নাই। গৌড়ীয়সাহিত্যের নাম ক’রে অনেক শু্যামাঘাস গৌড়ীয়-সাহিত্যধান্ত-ক্ষেত্রের পাশে পরিবর্কিত হ’য়েছে । যে পদাবলীসাহিত্য গৌড়ীয়-সাহিত্য-ভাণ্ডারের মহামণি মরকত – গৌড়ীয়-সাহিত্য-কুঞ্জের অকৃত্রিম কৃষ্ণভোগ্য বনফুলমাল, সেই পদাবলী-সাহিত্যে তাজ কত ভয়াবহ বিষময় আবর্জন প্রবেশ ক’রেছে ! অপ্রাকত কৃষ্ণসেবারসমগ্ন মহাকবি চণ্ডীদাস, বিদ্যাপতি, বাস্থ ঘোষ, নরহরি সরকার ঠাকুর, লোচনদাস, ঠাকুর নরোত্তম, গোবিন্দদাস প্রভৃতি অপ্রাকৃত পদকৰ্ত্ত মহাজনগণের নাম ক’রে, তাদের নামে ভণিত রচনা করে, কত দুরভিসন্ধিযুক্ত ব্যক্তি কত কু-মতবাদ গৌড়ীয়-সাহিত্য-ভাণ্ডারে প্রবেশ করাবার চেষ্টা ক’রেছেন ! কুরুচিপূর্ণ ব্যক্তিগণ তাদের নিজ নিজ নিসর্গগত কুরুচি এবং তা’দের কুভাব সমর্থন করবার জন্যে অপ্রাকৃত সেবারসমগ্ন পরম-নিৰ্ম্মল গৌড়ীয়-সাহিত্যকগণের উপর তাদের চরিত্র আরোপ করবার চেষ্টা ক’রেছেন । যে— “বিদ্যাপতি, চণ্ডীদাস, শ্ৰীগীতগোবিন্দ । এ তিনের গীতে করায় প্রভুর আনন্দ ॥”