পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য S •S সকলই এই গৌড়ীয়-সঙ্গীত-সাহিত্যের একটা বিকৃত আভাস মাত্র ; এমন কি, বৈকুণ্ঠের সঙ্গীত-সাহিত্যও এই গৌড়ীয়সঙ্গীত- সাহিত্যের অসম্পূর্ণ প্রকাশমাত্র। কারণ, সঙ্গীতসাহিত্যের যেখানে চরমণীমা, সেই রাসক্রীড়ার নায়ক গৌড়ীয়সঙ্গীত-সাহিত্যের দেবতা। একমাত্ৰ সৰ্ব্বানর্থ-নির্মুক্ত অপ্রাকৃত কৃষ্ণ-রস-রসিকগণই এ কথা উপলব্ধি করতে পারবেন। রাসতাণ্ডবী কৃষ্ণের গেীরাবতারে যে সঙ্কীৰ্ত্তন-রস প্রচারিত হয়েছিল, ত'তে সঙ্গীত-সাহিত্য-বিশ্বে যুগান্তর উপস্থিত হ’য়েছে। এমন নৃত্য-কলা, এমন বাদিত্র-কলা, এমন গীতকলা আর কোথায় আছে—যেমনটী নৃত্য-নায়ক গৌরমুন্দর নিজ-গণ-সঙ্গে জগতে প্রকাশ করেছেন ? সঙ্কীৰ্ত্তন-রাসস্থলী ঐবাস অঙ্গনে, নগরসঙ্কীর্তনে এবং নীলাচলে রথীগ্রে নৃত্যকালে যে সঙ্গীত-সাহিত্য প্রকাশিত হয়েছিল, তার দ্বিতীয় উদাহরণ আর কোথায়ও নেই। ‘সঙ্গীত-পরিজাত’, ‘সঙ্গীতশিরোমণি’ প্রভৃতি শাস্ত্র সঙ্গীত-লক্ষণ-বর্ণনে গীত, বাদ্য ও নৃত্য—এই ত্ৰিবিধ প্রকার নির্দেশ করেছে। এই তৌর্য্যত্রিক নীতিশাস্ত্রে ব্যসমরূপে পরিগণিত। নৃত্য-নায়ক সেই তৌর্য্যত্রিককেই ভগবৎসেবার পরম অনুকুল ক’রে জগতে প্রদর্শন ক’রেছেন। সঙ্গীত-সাহিত্য পরিপূর্ণরূপে কৃষ্ণেন্দ্রিয়তপণে নিযুক্ত হ’য়েছে—একমাত্র গৌড়ীয়গণের সেবা-নৈপুণ্যে । মহাপ্রভুর দ্বিতীয়স্বরূপ গন্ধৰ্ব্বকণ্ঠধিক্কারকারী শ্ৰীল স্বরূপগোস্বামী প্রভু ও ঐরামানন্দ রায় গৌড়ীয়-সঙ্গীত-সাহিত্যের