পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য چ م بلا . গুরু। শ্ৰীমন্মহাপ্রভু শ্ৰীস্বরূপ গোস্বামী প্রভূকে সঙ্গীতসাহিত্যে পরম নিপুণ দর্শন করে দামোদর নাম প্রদান ক’রেছিলেন। শ্ৰীল স্বরূপ দামোদর ‘সঙ্গীত-দামোদর’ নামে একখানা সঙ্গীত-সাহিত্য শাস্ত্র রচনা করেন,—একথা গৌড়ীয় সাহিত্যকগণ জানেন । কেবল গৌড়ীয় সঙ্গীত-সাহিত্যের কথা বলতে গেলেই একখানা বৃহৎ গ্রন্থ রচিত হ’তে পারে । ভক্তিরত্নাকরের পঞ্চম তরঙ্গে সঙ্গীত-সাহিত্যের আলোচনা পাঠ করলেই অনেকে গৌড়ীয়-সঙ্গীত-সাহিত্যের একটুকু আভাস পেতে পারবেন। তারপর শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্য প্রভু, নরোত্তম ঠাকুর ও খামানন্দ প্রভৃগণের অভু্যদয়কালে শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্য প্রভুর প্রপৌত্র ‘পদামূতসমুদ্র’কার শ্ৰীল রাধামোহন ঠাকুরের সময় গৌড়ীয়-সঙ্গীত-সাহিত্যের বিশেষ বিস্তার হয়েছিল। রাণীহাটী, মনোহরসাহী ও গড়েরহাট (নামান্তর গরাণহাটী) প্রভৃতি রাগিণী একমাত্র গৌড়ীয়-সাহিত্যেরই নিজ-সম্পং । মধুর মৃদঙ্গ-বাদ্য ও গৌড়ীয়-সঙ্গীত-সাহিত্যেরই আর একটা নিজ-সম্পত্তি । শ্ৰীনিবাস আচাৰ্য্যপ্ৰভু ও ঠাকুর মহাশয় সঙ্গীত-সাহিত্যের মধ্য দিয়া ‘প্রার্থনা’ ও ‘প্রমভক্তিচন্দ্রিকা’র শিক্ষাগুলি সৰ্ব্বসাধারণে প্রচার ক’রেছিলেন। কিন্তু পরবৰ্ত্তিকালে গুরুপাদপদ্মানুগত্যের অভাবে সঙ্গীত-সাহিত্যনায়কেয় ইন্দ্রিয়তপণের পরিবর্তে যখন আত্মেন্দ্রিয়-তৰ্পণ-বৃত্তি জেগে উঠলো—তাল-লয়-মান-মুরের বাহ মোহ যখন সেবা