পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য وه মথুরানাথে যথেষ্ট সাহিত্য আছে সত্য, কিন্তু সাহিত্য-সম্পূট সেখানেও পূর্ণতম ভাবে সম্প্রকাশিত নয়। বৃন্দাবনেই সাহিত্যের পরাকাষ্ঠী বৃন্দাবনেই সাহিত্যের চরম-সীমা । কথায় বলে,—“কানু ছাড়া গীত নেই।” সাহিত্যের পরিস্ফূৰ্ত্তি—ব্রজ-নব-যুবযুগের অবাধ অপ্রাকৃত লীলায়। যেখানে রসের চরমোৎকর্ষ, সেখানেই সাহিত্যের ভাণ্ডার উন্মুক্ত। বন ছাড়া সাহিত্য সুন্দরতম হয় না, ব্রজ ছাড়া সাহিত্য পূর্ণতম হয় না। ক্রীড়া-মাধুরী, বেণু-মাধুরী, বিগ্রহ-মাধুরী যেখানে, সেখানেই সাহিত্যের মূল প্রস্রবণ সহস্রধারে নিঝরিত। বেণুর রবে সাহিত্য-সাগরের বাণ ডাকে, ত্ৰৈলোক্য-সেীভগবিগ্রহ-মাধুরী অপ্রাকৃত সহজ-সাহিত্য-সুরধুনীর অভিসার আবিষ্কার করে, ক্রীড়া-মাধুরী সাহিত্য-কৌস্তুভমণির নব নব খনি প্রকটত করে, ঐশ্বৰ্য্যমাধুরী সাহিত্য-সাম্রাজ্য বিস্তার করে। তারুণ্য যেখানে, সাহিত্য সেখানে ; কিশোর-কিশোরী যেখানে, সাহিত্য সেখানে ; কদম্ব-কেতকীকুসুম-কিসলয় যেখানে, সাহিত্য সেখানে ; কালিনীকুঞ্জ, কোকিলের কাকলী, শিখির কেক যেখানে, সাহিত্য { সেখানে। শ্বেতদ্বীপের সবই সাহিত্য। সেখানকার মাটী— সাহিত্য, সেখানকার তরু—সাহিতা, সেখানকার জল— সাহিত্য, সেখানকার কথা—সাহিত্য, সেখানকার গমন— সাহিত্য, সেখানে সাহিত্যের "হরির লুট” ।