পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>●ゲ গৌড়ীয়-সাহিত্য বিষয়ক বিচার, পর-মতবাদ-খণ্ডন এবং ভগবল্লীলা-কথা বর্ণন ক’রে গিয়েছেন। বাদিরাজ স্বামী ব্যাসকুট-সম্প্রদায়ে প্রায় কুড়িট সংস্কৃত বিস্তৃত গ্রন্থ লিখেও আবার কন্নড় ভাষায় বহু পদ রচনা ক’রে গিয়েছেন । এই বাদিরাজই অপায়দীক্ষিতকে পরাজিত করেন। ষ্ট’হার যুক্তিমল্লিকা’র সৌরভগুলিতে অতিমুন্দর সাহিত্য পরিস্ফুট হয়েছে। গৌড়ীয়-বৈষ্ণব-সাহিত্যকগণের ভিতরেও এইরূপ ছুটী শ্রেণী দেখতে পাওয়া যায়। শ্রীরূপ, শ্ৰীসনাতন, শ্ৰীজীব, ঐবলদেব, শ্ৰীভক্তিবিনোদ, শ্ৰীল প্রভুপাদ প্রভৃতি যেন সেই ব্যাসকুটের সম্রাট ; আর চণ্ডীদাস, বিদ্যাপতি, শ্রীরূপ, রঘুনাথ, বাস্থঘোষ, ভজনানন্দী ঠাকুর নরোত্তম, গোবিন্দদাস, ভক্তিবিনোদ প্রভৃতি যেন দাসকুটের মুকুটমণি । গৌড়ীয়-বৈষ্ণব-সাহিত্যের যুগবিভাগ গৌড়ীয়-বৈষ্ণব-সাহিত্যকে আমার মোটামুটি পাঁচটা যুগে স্থাপন করতে পারি। প্রথম—শ্ৰীচৈতন্য-পূৰ্ব্বষুগ অর্থাৎ শ্ৰীমন্মচা প্রভুর প্রকট-লীলার পূর্বের যুগ—যে যুগে আমরা ভারত-ভাগবত সাহিত্য হ’তে আরম্ভ ক’রে গৌড়পুরের শ্ৰীজয়দেব, দাক্ষিণাত্যের কৃষ্ণবেম্বার তীরের শ্ৰীবিহুমঙ্গল এবং পয়স্বিনী-তীরের সংহিতা-সাহিত্য, মহারাষ্ট্রের নামদেব তুকারাম, বীরভূম জিলার নান্ন র-গ্রামের চণ্ডীদাস, মিথিলার বিদ্যাপতি, কুলীনগ্রামের গুণরাজ খাঁ প্রভৃতি