পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য > S > অশিক্ষিত নিম্নসম্প্রদায়ের মধ্যে আউল-বাউল-সহজিয়া-সঙ্গীতের গ্রাম্য সুর-তান-মান-লয়-সমুহ হরিণের কর্ণে ব্যাধের বংশীধ্বনির মধুবৃষ্টির ধারার স্তায় প্রবিষ্ট হ’য়ে যখন বাংলার অশিক্ষিত অতত্ত্বজ্ঞ সাধারণ সমাজের নৈতিক ও পারমার্থিক সৰ্ব্বনাশ সাধন করুল, তখন সহজিয়া-সাহিত্য আরো সম্বদ্ধিত হ’য়ে পড়লো। অন্যদিকে আবার মনসার গান, যাত্রী-গান প্রভৃতির অনুকরণে যখন অপ্রাকৃত-সাহিত্য-মঞ্জুষার গুহ্যতম সম্পটে সংরক্ষিত রাইকান্থর গান হাটে, মাঠে ঘাটে, বাটে বাজারে দগ্ধোদর-পূরণের পিপাসায়, ইন্দ্রিয়তপণেচ্ছার উত্তেজনার পণ্যদ্রব্যের মত বিষয়ী ভোগীর নিকট বিকিকিনি হ’তে আরম্ভ করলে, যখন গৌড়ীয়-সাহিত্যিক-গুরু "ঠাকুর-মহাশয়ের ‘প্রার্থনা”ও “প্রেমভক্তিচন্দ্রিকP-সাহিত্যের উপদেশ “আপনভজন-কথা না কহিবে যথা তথা” লঙ্ঘন ক’রে অপ্রাকৃত-গৌড়ীয়-সাহিত্য (?) সৌখিন-জড়বিলাসিগণের একটা সখের জিনিষ বা বিদ্যাসুন্দর ও লয়লা-মজনুরই মত আর একটা সাহিত্যবিশেষ হ’য়ে দাড়া’ল—শিক্ষিত, সভ্য, সাধারণ নৈতিক-সমাজ যখন গৌড়ীয় সাহিত্যকে অশ্লীলতার অমেধ্যগৰ্ত্ত ব’লে তা’র প্রতি নাসিক কুঞ্চন গৌড়ীয় সাহিত্যে নবযুগ করতে থাকৃগেন, তখন গৌড়ীয় গোস্বামিগণের গৌরবের ধন সাহিত্য-স্বরধনীকে যুগোচিত অমৃত-প্রবাহে প্রবাচিত