পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য ১১৭ এই গৌড়ীয় সাহিত্যাচাৰ্য্যই সমগ্র পূর্ব গৌড়ীয়সাহিত্যিক-গুরুগণের সাহিত্য-সবার—সাহিত্য-সাধনার অক্ষয় বিজয়-স্তম্ভ স্থাপন করার জন্য বৈষ্ণবমঞ্জুষা-নামক একটা গৌড়ীয়-সাহিত্য-বিশ্বকোষেব দ্বার উদঘাটন ক’রেছেন। গৌড়ীয়-সাহিত্য-ভাণ্ডার নানা মামণি-মরকতে, অলঙ্কার-কৌস্তুভে. রত্নাবলীতে, নীলকান্তমণিতে পরিপূর্ণ হ’লেও এসকল অপ্রাকৃত সন্মণি-অমূল্যবত্নকে চিররক্ষা করবার একটা অপ্রাকৃত বিপুল-মঞ্জুষ বা কোষের আবশ্বকত। ছিল—বিশ্ববৈষ্ণব-সাহিত্যের একখানা সম্পূর্ণ বিশ্বকোষের অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছিল। গৌড়ীয়-বৈষ্ণবসাহিত্যের—বিশ্ববৈষ্ণব-সাহিত্যের এই একটী বিপুল-সেবা ঐশ্ৰীবিশ্ববৈষ্ণবরাজসভার বর্তমান পত্রিরাজ- ওঁ বিষ্ণুপাদ শ্ৰীশ্ৰীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী প্রভুপাদ আরম্ভ ক’রেছেন । এই মঞ্জুষ হ’তে বিশ্বের দুয়ারে গৌড়ীয়সাহিত্যের ভাণ্ডার উন্মুক্ত হউক—গৌড়ীয-সাহিত্যেব গৌরবপ্রদর্শনী বিশ্বের প্রতি-গ্রামে প্রতি নগরে উদঘাটিত হউক । আমরা গৌড়ীয়-সাহিত্য-সম্রাটের বাণী শিরে ধারণ ক’রে যেন চিদেকরস শ্যামদাহিত্য-সেবায় অগ্রসর হতে পারি,— “যাহ ভাগবত পড় বৈষ্ণবের স্থানে । একান্ত আশ্রয় কর চৈতন্য-চরণে ॥ চৈতন্তের ভক্তগণের নিত্য কর সঙ্গ । তবে ত জানিবে সিদ্ধান্ত-সমুদ্র তরঙ্গ ॥”