পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૪.૨ કરો গৌড়ীয়-সাহিত্য করে, পূর্ণকে আশ্রয় করে। তাই তারাই বিশ্বপ্রেমিক হতে পারেন। প্রীতির পূর্ণতা—সমগ্রতা আছে। পূর্ণত ও প্রীতি একই অর্থবাচক । যখন পূরিপূর্ণকে কেন্দ্র করে সকলের সঙ্গে প্রেম হয় এবং যখন সাহিত্য সেই প্রীতির পূর্ণতা দেয়, তখনই সাহিত্য মুখ্য, নতুবা গৌণ। গৌড়ীয়-মঠের বক্তা বলেছেন, সাহিত্যের প্রতিপাদ্য— সাহিত্যের নায়ক-নন্দকুলচন্দ্রমা—“রসো বৈ স?—অখিলরসামৃতমূৰ্ত্তি,—এ কথা ঠিক । সাহিত্যের প্রাণ-রস, হলাদৈকময়ী কবিতা । আনন্দই সাহিত্যের প্রাণ । লৌকিক সাহিত্যে এ প্রাণের পূর্ণতা পাওয়া যায় না ; কেননা, আমি যখন নাট্যাভিনয় দর্শন করি, তখন রসের দ্বারা যে আনন্দ পাই, সে আনন্দ ফুরিয়ে যায় ; ভা’ ক্ষণিক, তা’ অক্ষুণ্ণ নয়, তাতে জগতের সঙ্গে পূর্ণ প্রেমের সম্বন্ধ স্থাপিত হয় না। গৌড়ীয়-মঠের প্রেমিক বক্ত। আরও বলেছেন, ভাগবতে ও গোস্বামিগণের সাহিত্যেই পূর্ণ প্রীতির পরাকাষ্ঠী দেখতে পাওয়া যায়। বাস্তবিকই ভগবৎপ্রেম যখন পরমতৃপ্তি দেখিয়ে দিতে পারে, তখনই যথার্থ সাহিত্য-সৌন্দৰ্য্য ফুটে ওঠে । শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতে কবিরাজ গোস্বামী লিখেছেন,—

  • চণ্ডীদাস বিদ্যাপতি, রায়ের নাটক-গীতি, কর্ণামৃত, শ্ৰীগীতগোবিন্দ । স্বরূপ-রামানন্দ-সনে মহাপ্রভু রাত্রিদিনে,

গায় শুনে পরম আনন্দ ॥”