গৌড়ীয়-সাহিত্য جا به ভগবদভক্তি। ভগবদ্ভক্তি প্রতিপাদন করবার যোগ্যবস্তুই— ‘সাহিত্য’। সেই সাহিত্যই—ভাগবত, অথবা ভগবৎসঙ্গের যে ভাব, তা’রই নাম—সাহিত্য । অল্পকথায় সাহিত্য—স্বরাটের সরস্বতী, স্বরাটের বাণী-বিনোদ, স্বরাটের বিচিত্র-বিলাস বা স্বরাটের সঙ্কীৰ্ত্তন। শ্ৰুতি-সাহিত্য ও সূত্র-সাহিত্য শ্রুতি-সাহিত্য বা স্বত্র-সাহিত্য ‘রাহিত্য’ বা নির্বিশেষ ভাব প্রতিপাদন করে নি। শ্রুতি-সাহিত্য ও স্বত্র-সাহিত্য স্বরাটের সাম-সঙ্গীতই সঙ্কীৰ্ত্তন ক’রেছেন । শ্রুতি র্যা”কে । “রসে৷ বৈ সঃ’ বলছেন, তিনিই মধুর-রস-সৰ্ব্বস্ব স্বরাট, পুরুষোত্তম । কঠ-শ্রুতি—“নিতে নিত্যানাং চেতনশ্চেতননামেকো বহুনাং যে বিদধাতি কামান” মন্ত্রে যার আরতি ক’রছেন, তিনিই—নিখিল-চেতন-জীবাতু অপ্রাকৃত কামদেব । ঋঙ মন্ত্র “অপশুং গোপামনিপদ্যমানম চ পরাচ পথিভিশ্চরন্তম্” “তাপাং বাস্ত ব্যুশ্বসি গমধ্যে যত্র গাবে। ভূরিশৃঙ্গা আয়াসঃ” প্রভৃতি সাহিত্যে যে সাহিত্য-নায়কের • আরাধন করছেন, তিনিই গোপেন্দ্রনন্দন গোকুলবীর কৃষ্ণচন্দ্র। “ভ্যামাচ্ছবলং প্রপদ্যে শবলাচ্ছ্যামং প্রপদ্যে”, “সৈষানন্দস্ত মীমাংস ভবতি”, “এবমেবৈষ সম্প্রসাদোহন্মাচ্ছরীরাৎ সমুখায় পরং জ্যোতিরুপসম্পদ্য স্বেন রূপেণাভিনিম্পদ্যতে স উত্তমঃ পুরুষঃ, স তত্র পর্য্যেতি জহ্মন ক্রীড়ন রমমাণঃ”, “অয়মাত্মা সৰ্ব্বেষাং ভূতানাং মধু” “আত্মনিমেব প্রিয়মুপাসীত”, “স
