পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬ গৌড়ীয়-সাহিত্য গৌড়ীয়-গোস্বামিগণের গৌরব-গ্ৰন্থমালা নৈমিষ-সাহিত্যসৌরভ আরও সম্প্রকাশিত ক’রে দিল । সুতরাং নৈমিষসাহিত্যই স্বরাটু-সাহিত্য বা মহাবিশ্ব-সাহিত্য। বিশ্বরূপ বা বিরাটের সাহিত্য স্বয়ংরূপ বা স্বরাটের সাহিত্যের অবৈধ আনুকরণিক প্রতিযোগিতায় নিগমকল্পতরুর ফলের পাশে মাকালফল রূপে অথবা ধান্তের পাশে শু্যাম-ঘাসরূপে অপাশ্রিত ও ব্যতিরেকভাবে অন্ধকারের দ্বার আলোর ঔজ্জ্বল্য পুষ্টির স্তায় নৈমিষ-সাহিত্যেরই সৌন্দৰ্য্যপুষ্টি করছে। তথাকথিত বিশ্ব-সাহিত্য—যা” অনন্ত-জগতে অনন্তকালে স্বল্প হ’য়েছে, হ’চ্ছে বা হ’বে, সেগুলি সব সেই মহাবিশ্বসাহিত্য নৈমিষ-সাহিত্যেরই অবৈধ, বিকৃত, নকল ক্ষুদ্র ংস্করণ। সুতরাং স্বরাটু-সাহিত্যিকগণ ভাগবত-সাহিত্যকেই অন্বয় ও ব্যতিরেক ভাবে বিশ্ব-সাহিত্যের আকর ব'লে স্থির করেছেন । গৌড়ীয়-বৈষ্ণব-সাহিত্য ও গৌড়ীয়-সাহিত্য অনেকেই গৌড়ীয়-সাহিত্য ও গৌড়ীয়-বৈঞ্চবসাহিত্যকে পৃথক্ বিচার করেন অর্থাৎ ‘গৌড়ীয়-সাহিত্য’ বলতে গেলে বাংলার সাহিত্যমাত্রকেই বুঝায়, আর ‘গৌড়ীয়বৈষ্ণব-সাহিত্য’ বললে কেবল শ্রীচৈতন্যদেবের অনুগতসম্প্রদায়ের সাহিত্যকে লক্ষ্য করে ; কিন্তু একভাবে গৌড়ীয়-সাহিত্যকে গৌড়ীয়-বৈষ্ণব-সাহিত্য হতে পৃথক ক’লেও গৌড়ীয়-বৈষ্ণব-সাহিত্যেই যে গৌড়ীয়-সাহিত্যের