পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য ) సె ‘ভাগবতের পদ্যানুবাদ’, ‘শৈবাগম ভাগবত, গুণ্ডিচবিজে’, ‘ষোলচৌপদী" ; তারপর তা’র শষ্য-প্রশিষ্য যথা— বলরাম দাস, যশোবস্ত দাস প্রভূতিও গৌড়ীয়-বৈষ্ণবসাহিত্যের অনুকরণে কিছু কিছু সাহিত্য স্বষ্টি ক’রে গেছেন। আবার অন্যদিকে আসাম প্রদেশে শঙ্করদেব ঐচৈতন্তদেব ও ঐঅদ্বৈতাচাৰ্য্য এবং গৌড়ীয়-বৈষ্ণবগণের সঙ্গে নীলাচলে সাক্ষাৎ করবার পর তাদের বিচার হাতে স্বতন্ত্ৰ হ’য়ে স্ব-মতপোষক স্বতন্ত্র সাহিত্য স্বষ্টি করলেন । শঙ্করদেবের আসামীয়া ভাষায় ‘ভাগবতের পদ্যানুবাদ, ‘রুক্মিণীহরণ-কাব্য’, ‘অনাদিপতন’, ‘বলিছলন, ‘রত্নাকর’, ‘গুণমালা’ প্রভূতি গৌড়ীয়-গোস্বামিগণের সাহিত্যের স্বতন্ত্র অনুকরণ মাত্র। তার পর শঙ্করদেবের কীৰ্ত্তনঘোষা’, ‘বড়গীত’, মাধব-দেবের নামঘোষা’, শ্ৰীবিষ্ণুস্বামিপাদের ‘ভক্তিরত্নাবলীর পদ্যানুবাদ, তার অন্তান্ত শিষ্য-প্রশিষ্যগণের মধ্যে যেমন রমানন্দ ও দৈত্যারি দাসের গুরুচরিত’ প্রভৃতি গৌড়ীয়-বৈষ্ণব-পদাবলীর এবং শ্রীচৈতন্ত্যভাগবতকার ঠাকুর বৃন্দাবনের লেখনীর অবৈধ প্রতিযোগী অনুকরণ । তার পর আর্য্যাবৰ্ত্তেও শ্ৰীবল্লভাচার্য্যপাদ এবং তৎপুত্ৰ বিঠঠলাদি শ্ৰীমন্মহাপ্রভূ, শ্ৰীগদাধর পণ্ডিত, গৌড়ীয়বৈষ্ণব-সাহিত্যিক-গুরু শ্ৰীস্বরূপ-রূপ প্রভৃতির সহিত সাক্ষাৎ করবার পর অনেক সাহিত্যের পুষ্টি করলেন । কেউ কেউ ব’লে থাকেন যে, বর্তমানে নিস্বার্কের নামে যে সকল সাহিত্য