পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০ গৌড়ীয়-সাহিত্য প্রচলিত হয়েছে এবং কেশব ভট্ট প্রভৃতির দ্বারা যে সকল সাহিত্য সম্বৰ্দ্ধিত হ’য়েছে, সেগুলি দিগ্বিজয়ী কেশব ভট্টাদির গৌড়ীয়-সাহিত্য-সরস্ব তী-পতি মহাপ্রভুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হ’বার পর । “সৰ্ব্বদর্শন-সংগ্রহে’ মাধবাচার্য্য প্রাচীন বিষ্ণুস্বামীর সর্বজ্ঞস্বত্ত-সাহিত্য, শ্রীরামানুজীয় সাহিত্য, শ্ৰীমাধব-সাহিত্য প্রভৃতি সংগ্রহ করলেও নিম্বার্ক-সাহিত্যের কোন নাম-গন্ধ করেন নি । শ্রীল জীব-গোস্বামী সন্দর্ভ ও সৰ্ব্বসম্বাদিনীতে ঐবিষ্ণুস্বামী, শ্ৰীশঙ্করাচাৰ্য্য, ঐধর, শ্ৰীমধ্ব, শ্রীরামানুজ—সকলের সাহিত্যই সমাহরণ করেছেন, কিন্তু আধুনিক নিম্বার্ক সাহিত্যের কোন কথাই বলেন নাই । এ সকল প্রমাণ হ’তে ও অনেকে ব’লে থাকেন যে, নিম্বার্ক সম্প্রদায়ের দশশ্লোকী প্রভূতি গৌড়ীয়-বৈষ্ণব-সাহিত্যেরই অনুকরণে লিখিত । যা’ হোক, গৌড়ীয়-বৈষ্ণব-সাহিত্যই যে তথা-কথিত গৌড়ীয়-সাহিত্যের আকর, একথা সুধীসমাজ একটুকু নিরপেক্ষ বিচাব করলেই জানতে পারেন। এই গৌড়ীয়-বৈষ্ণব-সাহিত্য নৈমিষ-সাহিত্য হতে অভিন্ন। এই স্বরাট সাহিত্যের মুল প্রস্রবণ হ’তে স্বতন্ত্ৰ হ’য়েই তথাকথিত গোড়ীয়-সাহিত্য পৃথকাভিমান করছে। গৌড়ীয় সাহিত্যের যুগ-নির্দেশ গৌড়ীয়-সাহিত্যের সর্বাদিযুগ কোন সময় থেকে আরম্ভ হ’লো, একটা প্রশ্ন হ’তে পারে। আমরা তা’র অনুসন্ধান