পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ご 8 গৌড়ীয়-সাহিত্য হ’লো। গৌড়ীয়-সাহিত্য ত্রিধারায় ব্যক্ত হ’লো—সম্বTসাহিত্য বা জ্ঞান-সাহিত্য, অভিধেয়-সাহিত্য বা বৈরাগ্যসাহিত্য, আর প্রয়োজন-সাহিত্য বা ভক্তি-সাহিত্য । জ্ঞানসাহিত্যকে তত্ত্বসাহিত্যও বলা যেতে পারে, প্রয়োজনসাহিত্যকে অপর ভাষায় রস-সাহিত্যও বলা যায়। কলুষনাশিনী জাহ্নবী যেমন সৰ্ব্ব-কলুষতা বিনাশ ক’রে সকলকে পূত ক’রে দেয়, সেইরূপ গৌড়ীয়-তত্ত্বসাহিত্য জীবের অনর্থ-মল বিধৌত ক’রে অভিধেয়-সাহিত্যের কাছে—সেই সরস্বতী-প্রবাহের কাছে—ভক্তিরসামুতসিন্ধুর তটে নিয়ে যায়। তখন প্রয়োজন-সাহিত্যের যমুনাপ্রবাহ গৌড়ীয়সাহিত্যের পূর্ণ ভাণ্ডার উন্মুক্ত ক’রে দেয়। তখনই তপনতনয়াতীরে কদম্ববনদেবতার বেণু-মাধুরী রস-সাহিত্যের হাট পত্তন করে, আর সেই হাটে অখিলরসখনি নীলকান্তমণি প্রাকৃত রৌপ্যমূল্যের পরিবর্তে অপ্রাকৃত রূপ-মূল্যে রূপানুগ রূপসীগণের নিকট চিরবিক্রীত হ’য়ে আপনাকে চিরঋণী অভিমান করেন । রূপানুগগণ স্বয়ংষ্ট—গৌড়ীয়সাহিত্য । তাদের প্রত্যেকের জীবন—সাহিত্যের এক একটী সান্দ্রগ্রন্থাগার। গৌড়ীয়-সাহিত্যকগণের বৈশিষ্ট্য এই যে, তাদের জীবন ও সাহিত্য—এক, তাদের জীবনই যেন র্তারা সাহিত্যরূপে বাইরে প্রকাশ কবেন। যারা গৌড়ীয়ব্রুব বা ‘অগৌড়ীয় অভিমানে সাহিত্যিক ব’লে পরিচয় দিতে যান, তাদের ভিতরে এ বৈশিষ্ট্য নেই; কাজেই তাদের সাহিত্য