পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য ২৫ —মৃত। আর রূপানুগ গৌড়ীয়গণের সাহিত্য-চির-অমৃত। সে সাহিত্য রূপ ধ’রে কথা কইতে পারে—সে সাহিত্য অপরকে অমৃত করতে পারে—রুপদী করতে পারে, যে রূপ—যে সাহিত্য ভুবনমোহন স্বরাটুমুন্দরের সম্মুখেও সম্মোহিনী বিদ্যা বিস্তার করতে পারে, গৌড়ীয় সাহিত্য—এত বড় জিনিষ । সাহিত্য-সরস্বতী-পতি মায়াপুর-পুরন্দরের জীবনের আদিপর্বে যে শিশু-সাহিত্য-শাস্ত্রের এক অপূৰ্ব্ব অভিনয় হ’য়েছিল, তা হ’তেই শ্ৰীজীবের হরিনামামৃত-ব্যাকরণ সমগ্র ব্যাকরণ-সাহিত্য-শাস্ত্রে এক যুগান্তর আনয়ন ক’রেছে। কেউ কি কখনও শুনেছিল যে, ব্যাকরণ-সাহিত্য—শিশুসাহিত্যের প্রতি অক্ষর, প্রতি শব্দ, প্রতি প্রাতিপদিক, প্রতি পদ, প্রতি স্বত্র স্বরাটের সঙ্গীত শিক্ষা দিতে পারে ? শিশুকাল হ’তেই মানুষকে স্বরাটের সেবায়—স্বরাটের সাধনায় অভিষিক্ত করবার জন্ত সরস্বতী-পতি এ অভূতপূৰ্ব্ব ব্যাকরণ-সাহিত্য আবিষ্কার করালেন। তারপর গৌড়পুরে চন্দ্রশেখর আচার্য্যের ভবনে যেদিন গেীরসুন্দর পররঙ্গমঞ্চের যবনিকা উত্তোলন করলেন, সেইদিনই বাংলার সর্বপ্রথম নাট্যসাহিত্য প্রদর্শণীর দ্বার উদঘাটিত হ’লো—সে দিন হ’তেই গৌড়ীয়ের দৃশু ও শ্রব্য-কাব্য-সাহিত্য—গৌড়ীয়ের অলঙ্কার-সাহিত্য—গৌড়ীয়ের রস-সাহিত্য—গৌড়ীয়ের শিল্প-সাহিত্য—গৌড়ীয়ের বিজ্ঞান-সাহিত্যের পূর্ণভাণ্ডার উন্মুক্ত হ’লো ।