পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२br গৌড়ীয়-সাহিত্য সঙ্গমের প্রথম প্রস্তাখন প্রদর্শন ক’রেছিলেন—প্রয়াগের ত্রিবেণীর তটে । র্যা’র জয়দেব সরস্বতী ও লীলাগুকের সাহিত্য-স্রোতস্বিনী স্পর্শ করবার অধিকারী, তা’র জানতে পারেন যে, গীত-গোবিন্দ ও কর্ণামৃতে ত্ৰিধারারই সম্মিলন আছে । সম্বন্ধজ্ঞান ছাড়া অভিধেয় হয় না, অভিধেয় ছাড়t আবার সম্বন্ধ হয় না। সম্বন্ধঞ্জান ছাড়া প্রয়োজন লাভ হয় না, অভিধেয় ব্যতীত প্রয়োজন পাওয়া যায় না। তবে যেমন পূর্ণিমাদি পৰ্ব্বদিনে ত্রিবেণীর মধ্যে কখনও সরস্বতী প্রবাহ, কখনও বা যমুনা-প্রবাহ অধিকতর উচ্ছলিত হ’য়ে ওঠে, তেমনি কখনও অভিধেয়-বিচার, কখনও বা প্রয়োজনবিচার অধিকতর প্রকাশিত হ’য়ে সাহিত্যকে সেই সেই ভাবের রঙে অধিকতর রঙিন ক’রে তোলে । গৌড়ীয়-সাহিত্যের নায়ক-নায়িক। পূৰ্ব্বেই বলা হ’য়েছে, গৌড়ীয়-সাহিত্যের নায়ক— ব্ৰজনবযুবরাজ শিখিপিচ্ছমেীলি ত্রিভঙ্গভঙ্গিম কামদেব, আর গৌড়ীয়-সাহিত্যের নায়িকা—বৃন্দারণ্যরাজ্ঞী মুকুন্দমধুমাধবী ভুবনমোহন-মনোমোহিনী বৃষভানু-নন্দিনী । কেহ কেহ কল্পনা করেন, গৌড়ীয়-সাহিত্যের এই নায়ক ও নায়িক ক্ষেপীয়রের রোমীয়-জুলিয়েটাদির মতই গৌড়ীয়কবিগণের কল্পিত পাত্র-পাত্রীবিশেষ ! এইরূপ কল্পনাশিল্পিগণ আরও অগ্রসর হয়ে বলেন,—