পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য ·GI গ্রাম্যরস-পুষ্টির উপকরণ সংগ্ৰহ ক’রে ফেলেছিলেন । শোনা যায়, পরবত্তিকালে এমন কি তিনি কেীপীন ত্যাগ ক’রে বৈষ্ণব-বিদ্বেষী রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের প্রিয়ভাজন হ’বার জন্য বিদ্যাসুন্দর ও অন্নদামঙ্গল সাহিত্য লিখে 'রায়গুণাকর' উপাধি লাভ ক’রেছিলেন, যে সাহিত্যের সমালোচনা-প্রসঙ্গে প্রাকৃত সাহিত্যিকগণও ব’লেছেন,—“যে নবদ্বীপে একদিন বৈষ্ণবগণ কদম্ববৃক্ষ দর্শনে কৃষ্ণের উদ্দীপন-বিভাবে বিভাবিত হ’তেন, সে-স্থানে ভারতচন্দ্রের শিষ্যগণ ফুরিত-কদম্ব দেখে কুভাবনায় কণ্টকিত হ’য়ে রাত্রি জাগরণ ক’বৃত ” রায়-গুণাকরের তোটক ছন্দ, শব্দবিন্যাসের মাদকতা, “ছলচ্ছল-টলটুল-কলঙ্কল-তরঙ্গ” প্রভৃতি অনুপ্রাসের ছটা যে সাহিত্য স্বষ্টি ক’রেছিল, সেই সাহিত্য সমাজের সম্যক হিতসাধন করা দূরে থাকুক, সমাজের সৰ্ব্বনাশই ক’রেছে। একজন সাহিত্যিক ব’লেছেন—“বাশীর রবে হরিণ ফাঁদে পড়ে, হাতী কাদায় মগ্ন হয়, আর ভারতচন্দ্রের ললিতশব্দে মুগ্ধ হ’য়ে এক সময়ে বঙ্গীয় যুবকগণ নৈতিক কূপে পড়েছিলেন।” বারবনিত যেমন সতীর স্বাভাবিক সাজসজ্জা ও সৌন্দর্ঘ্যের অবৈধ অনুকরণ ক’রে লোকের আপাত উত্তেজন জন্মিয়ে আপাত মনোরঞ্জন ক’রে—আপাত প্রিয় হ’য়ে ব্যষ্টি ও ক্রমে ক্রমে সমষ্টির সর্বনাশ সাধন করে, তেমনি সমাজে স্বরাটু-সাহিত্য-জয়ন্ত্রর স্বাভাবিক সুষমার অবৈধ অনুকরণে যখন বিরাটের সাহিত্য গড়ে তুলবার একটা চেষ্টা হ’চ্ছিল,