পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য 8○ ‘ন ধনং ন জনং ন সুন্দরীং কবিতং বা জগদীশ কাময়ে । মম জন্মনি জন্মনীশ্বরে ভবতাদ্ভক্তিরহৈতুকী ত্বয়ি ॥” গোড়ীয়-সাহিত্যই—সাৰ্ব্বভৌম-সাহিত্য গৌড়ীয়-বৈষ্ণব-সাহিত্য যখন পূর্ণতম সাহিত্য-নায়ককে আশ্রয় ক’রে প্রকাশিত, তখন গৌড়ীয়-সাহিত্যের ভাণ্ডারও পূর্ণতম। গৌড়ীয়-সাহিত্য-ভাণ্ডারে কোন বস্তুর অভাব নেই। ব্যাকরণ, ছন্দঃ, নিরুক্ত, অলঙ্কার, নাটক, কাব্য, মহাকাব্য, চম্পু, বিরুদ, চরিত্র, ঐতিহ, কড়চা, কারিকা জ্যোতিষ, ন্যায়, বেদান্ত, স্মৃতি, পদ্ধতি, স্তব, কথা, গল্প, পাচলি, পত্র, পুরাণ, বিজ্ঞান, শিল্প, রস, রাগ, রাগিনী, বাদ্য, তত্ত্ব, দর্শন, সিদ্ধান্ত, ভাষ্য, ভাষা, গদ্য, পছ; অনুবাদ, সন্দর্ভ, সূত্র, সংঙ্গিতা, তাপনী, পঞ্চর গু, পদ, সঙ্গীত, কীৰ্ত্তন, উপাখ্যান, উপন্যাস, নবদ্যাস,—সকল জিনিষই গৌড়ীয়সাহিত্য-ভাণ্ডারে সাহিত্য-নায়কের সেবাসামগ্রীরূপে বিরাজিত রয়েছে। কাজেই আমরা গৌড়ীয়-সাহিত্যকে সাৰ্ব্বভৌম সাহিত্য ব'লে ঘোষগ্ন করতে পারি। এই সাৰ্ব্বভৌম-সাহিত্য নিখিল চেতন-জগতকে সাহিত্য-সাধনার সৰ্ব্ববিধ সাধ্যবস্তু দান করতে পারে ব’লে গৌড়ীয়-সাহিত্যকেই একমাত্র সাৰ্ব্বজনীন-সাহিত্য বলা যায় । গৌড়ীয়-ব্যাকরণ *. শ্ৰীল জীব-গোস্বামিপাদের হরিনামামৃত ব্যাকরণ’— সাহিত্য বিশ্বের এক অভিনব মহা-আলোকস্তম্ভ। সৰ্ব্বেশ্বর