পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য 8ጎ রাধিক হয়েন কৃষ্ণের প্রণয়-বিকার । স্বরূপশক্তি—“হলাদিনী ” নাম র্যাহার ॥ হলদিনী করায় কৃষ্ণে আনন্দ-আস্বাদন । হলাদিনীর দ্বারা করে ভক্তের পোষণ ॥” গৌড়ীয়-সাহিত্য এই হলাদময়ী ছন্দোদেবতার আরাধনাই সাধ্যসার, সুতরাং গৌড়ীয়-সাহিত্যে যে ছন্দের বৈচিত্র্য ও নবনবায়মানত রয়েছে, এরূপ আর কোথায়ও নেই। গৌড়ীয়-সাহিত্যের ছন্দঃ ছন্দোদেবতার—ছন্দো-নায়কের বন্দনা ছাড়া আর কোন প্রকার ব্যভিচার-বৃত্তি অবলম্বন করে না। বৈদিক ও লৌকিক উভয়প্রকার ছন্দই গৌড়ীয়সাহিত্যে ব্ৰজনবযুবদ্বন্দ্বের চরণারবিন্দ বন্দনা করছেন। বাংলার গৌড়ীয়-বৈষ্ণব-সাহিত্যই সৰ্ব্বাগ্রে গৌড়ীয়-ছন্দঃ বিস্তার ক’রেছেন। চণ্ডীদাস, বিদ্যাপতি, গুণরাজ খাম, ব্যাসাবতার ঠাকুর বৃন্দাবন, শ্ৰীল কবিরাজ প্রভূতি গৌড়ীয়-ছন্দোদেবতার পূজা প্রচার করেছেন। মহর্ষি পিঙ্গল যে সকল ছন্দের কথা জানেন না, ছন্দোদেবতার উপাসক গৌড়ীয়-সাহিত্যিকগণ সে সকল ছন্দের সৌরভস্রাবি-গন্ধ ছন্দোদেবতার আরতিমুখে বিস্তার ক’রেছেন। গৌড়ীয়-বৈষ্ণব-সাহিত্যিকের “ছন্দঃকৌস্তু ভ” গৌড়ীয়-ছন্দোজগতের কীৰ্ত্তিস্তম্ভ। জয়দেবের কোমলকান্তপদাবলীতে, রামরায়ের নাটকগীতে, শ্রীরূপের পদ্যাবলীতে, সনাতনের ভাগবতামৃতে, কবিকর্ণপুরের নাটকে ও মহাকাব্যে, শ্ৰীদাস গোস্বামী প্রভুর স্তবাবলীতে, কবিরাজের