পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- •8br গৌড়ীয়-সাহিত্য গৌরগোবিন্দলীলামৃতে যে সকল ছন্দোমাধুরী ও ছন্দোবিলাস আবিষ্কৃত হ’য়েছে, তা’র তুলনা জগতে মিলে না। গৌড়ীয়সাহিত্যিকগণের ‘তোটক’, ‘ভুজঙ্গপ্রয়াত’, ‘মন্দাকিনী, ‘কুমুমবিচিত্রা’, ‘তড়িদগতি’, ‘মনোরমা’, ‘ভুজঙ্গসঙ্গতা’, “বাসন্তী’, ‘শশীকলা’, ‘নান্দীমুখী’, ‘অপরাজিতা’, ‘চন্দ্রিকা’, ‘মালতী’, ‘মণিমালা’, ‘চিত্রা’, ‘বাণিনী’, “চিত্ৰলেখা’, প্রভৃতি ছন্দঃ হলাদময়ী ছন্দো-দেবতা বৃষভানুনন্দিনীর কৃষ্ণসেবাময় এক একটা আভরণ । গোড়ীয় ছন্দের ‘মদিরা’, ‘সরলী’, ‘শোভা’ প্রভৃতি ছন্দঃ সত্য সত্যই রসিকশেখরের হলাদ বৰ্দ্ধন ক’রে ভক্তমোদ বিস্তার ক’রে থাকে। গৌড়ীয়-সাহিত্যে যে ‘লীলাখেল’, ‘বিপিনতিলক, ‘তুনক’, ‘প্রবরললিত’, ‘অনঙ্গশেখর, “মৰ্ত্তমাতঙ্গ, ‘ਖੋ ছন্দের উদাহৰণ রয়েছে, তার তুলনা প্রাকৃত কবির ছন্দে কোথাও হ’তে পারে না। এই গৌড়ীয় ছন্দের কথা বলতে গেলেই একটা বিরাট গ্রন্থ রচিত হ’য়ে যেতে পারে। আমাদের সময় সংক্ষেপ, তাই অপ্রাকতসাহিত্যমোদিগণের সামনে গৌড়ীয়-কবিগণের কএকটমাত্র ছন্দের উদাহরণ উদ্ধার করছি। ছন্দের যা’ অর্থ–ছন্দের য তাৎপৰ্য্য, তা একমাত্র গৌড়ীয়-সাহিত্যিকগণের ছন্দেই ষোলকলায় প্রস্ফুটিত। শ্রীরূপ তার কত বিচিত্র ছনে সাক্ষাৎ হলদিময়ী ছন্দো-দেবতার সঙ্গে ছন্দো-নায়কের মিলন করিয়ে অপ্রাকৃত-ছন্দোমোদিগণের আনন্দ-মোদ বৃদ্ধি