পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য ○○ মণির অলঙ্কার এমন একটা জিনিষ—যেখানে শিখিপিচ্ছমৌলির বনমালার একটা কিসলয় কৌস্তুভমণিকেও স্পৰ্দ্ধা করতে পারে। সেখানে ব্রজললনাগণের অঙ্গজ, অযত্নজ গু স্বভাবজ বিংশতি প্রকার অলঙ্কার গৌড়ীয়-সাহিত্যের অসমোদ্ধ-মাধুরী বিস্তার করে। তাই গৌড়ীয়-সাহিত্যের অলঙ্কারের সঙ্গে জগতের কোন সাহিত্যের অলঙ্কারের তুলনা হু’তে পারে না। শ্ৰীল রূপপাদের ‘উজ্জ্বল’ ও ‘নাটকচন্দ্রিকা’, মহাকবি জয়দেবের ‘চন্দ্রালোক’ নামক অলঙ্কার-সংগ্ৰহ, শ্ৰীপাদ বলদেব বিদ্যাভূষণের ‘সাহিত্য-কৌমুদী’ প্রভৃতি গৌড়ীয়-অলঙ্কার-সাহিত্য ত্ৰিজগতে অতুলনীয়। শ্ৰীপাদ বলদেব বিদ্যাভূষণ নাটকচন্দ্রকার টীকায়, শ্ৰীল বিশ্বনাথ চক্রবর্তী ঠাকুর অলঙ্কারকৌস্তুভের ‘মুবোধিনী টীকায় যে সকল অপ্রাকৃত মহা-মরকত চয়ন করেছেন, তাতে গৌড়ীয়সাহিত্য-ভাণ্ডার বিশ্বের কেন, বৈকুণ্ঠের সাহিত্য-প্রদর্শনীতে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ সেব্যের পাদপদ্ম-পদক পুরস্কার লাভের অপ্রতিযোগী অধিকারী হ’য়েছে । গৌড়ীয়-নাটক আমরা পুৰ্ব্বেই ব’লেছি, গৌড়ীয়-সাহিত্যের নায়ক গৌরমুন্দরই সৰ্ব্বপ্রথমে গৌড়পুরে চন্দ্রশেখর আচার্য্যের মন্দিরে বাংলার রঙ্গমঞ্চের দ্বার উদঘাটন ক’রেছেন । যেদিন মায়াপুর-পুরন্দর– - “আজি নৃত্য করিবাঙ অঙ্কের বন্ধানে !”