পাতা:গৌড়ীয়-সাহিত্য.djvu/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৌড়ীয়-সাহিত্য ¢ ፃ ‘নাটক’-পদবাচ্য হ’বে না । পঞ্চসন্ধিযুক্ত বিলাস, নানা প্রকার সম্পং, বহুবিধ বিভূতি, সুখ ও দুঃখ প্রভৃতি নান। প্রকার রসোৎপত্তি এবং পাচ হইতে দশটা পৰ্য্যস্ত অঙ্ক নাটকে থাকৃবে । নাটকের নায়ক ধীরোদাত্ত, প্রখ্যাতবংশ, প্রতাপবান ও মহাপুরুষ হ’বেন। নাটকের প্রধান রসটী শৃঙ্গার বা বীর-রস হওয়া চাই। করুণ, হাস্ত বা শাস্ত প্রভৃতি রস প্রধান হ’লে ত’কে ‘নাটক’ বলা যাবে না । সাধারণ-নাট্যশাস্ত্র সাহিত্য- দর্পণে নাটকের যে লক্ষণ রয়েছে, সেগুলি ধ’রে বিচার করলেও গৌড়ীয়-নাট্যসাহিত্যই সৰ্ব্বশীৰ্ষস্থান অধিকার করবে। কেন না, গৌড়ীয়ের নাট্য-নায়ক স্বয়ং নবকিশোরনটধর, রাসরসতাণ্ডবী, অখিলরসামৃতমূৰ্ত্তি ; আবার অখিলনৃত্যকলা-নায়ক মহাপ্রণয়সীধু-সমুদ্র নটরাজ গেীরসুন্দর। নাট্য-নায়কের যত কিছু লক্ষণ আছে এবং সাহিত্যদর্পণকার যে সকল সংগ্রহ করতে পারেন নি, সে সকলের সমাবেশ একমাত্র গৌড়ীয়-সাহিত্যের নায়ক শুামসুন্দর ও গৌরমুন্দরেই আছে। উজ্জ্বলনীলমণি-কার শ্রীরূপগোস্বামী প্রভু নাট্য-নায়ক নবকিশোর-নটবরের ও নাট্য-নায়িকা ব্রজবালাগণের যে সকল প্রকার-ভেদ বর্ণন করেছেন, সাহিত্যদর্পণকার বা নাট্যকলাবিং ভরতমুনিও তা জানেন না। কারণ প্রপঞ্চে নায়কনায়িকাগণের তুল্যরস পর্য্যস্ত হ’তে পারে, কিন্তু চিদ